সংগীতাঙ্গন, অডিও, ইউটিউব ও প্লেব্যাকে সরব উপস্থিতির পাশাপাশি শিল্পী সোমনুর মনির কোনাল চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ালেখা ও অন্যান্য কাজ।
জার্মান সুরকার রবার্ট বার্থারের ‘থ্রু দ্য টাইগার্স আই’ গানে ১০ দেশের শিল্পীর সঙ্গে গান করলেন তিনি। করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে ফিরে সেসব বিষয়ে কথা বললেন এই শিল্পী।
টিকা নিতে ভয় করেনি? তা করেনি। সুচের খোঁচায় সামান্য ব্যথা করছে। তবে করোনার টেস্ট করাতে ভয় করেছিল। এটা মানসিকভাবে একটা চাপ তৈরি করে। পরে তো টেস্ট করাতেই হলো।
‘মুজিব চিরন্তন’-এর সাংস্কৃতিক পর্বে পরিবেশনার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? এটা একটা সুশৃঙ্খল অনুষ্ঠান ছিল। এত বড় আয়োজনে গান করার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করেছি।
এ রকম জাতীয় আয়োজন আর কবে হবে, তা তো আমরা কেউ জানি না। এটা একটা ইতিহাস, যার অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত।
জার্মান সুরকার রবার্ট বার্থারের ‘থ্রু দ্য টাইগার্স আই’ গানে ১০ দেশের শিল্পীর সঙ্গে গান করলেন। আন্তর্জাতিক এ প্রযোজনায় কীভাবে যুক্ত হয়েছিলেন? এই প্রকল্পের কো–অর্ডিনেটর ড্যানিয়েল সেইডল জার্মানি থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশে ছিলেন, এখানকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করেছেন। গানটা থেকে যে পরিমাণ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছি, তাতে আমি খুবই আনন্দিত।
আমাদের সাবিনা ম্যাম, রুনা ম্যাম আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই প্রকল্পের আরও বড় সুসংবাদ হচ্ছে, পুরো গানটি বাংলায় হবে, আর তাতে আমিই কণ্ঠ দেব।
লকডাউন তো হলো! কী করবেন এখন? সম্প্রতি কী কাজ করলেন? বাসায় স্টুডিও করে নিয়েছি। অনলাইনে ক্লাস করছি। কাজের ক্ষেত্রে আমার তেমন অসুবিধা হবে না।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গান করেছি। মিরাজ তুষারের কথা ও সুরে একটি ওয়েব ফিল্মে গাইলাম। অনেক দিন পর একটা আইটেম গান করলাম ‘লাস ভেগাসের টেম্পো’ শিরোনামে।
এ ছাড়া আজ কণ্ঠ দেব একটা সিঙ্গেল ফোক গান ‘সখী তোরা প্রেম করিয়ো না’তে। কানাডা থেকে পাভেল গানটার নতুন করে সংগীতায়োজন করছেন।
কাজের মধ্যেই আছি, কাজ করে যাব। ইদানীং দেখা যাচ্ছে, রোমান্টিক গানের পাশাপাশি আইটেম গানেও কণ্ঠ দিচ্ছেন। আমি আসলে প্লেব্যাক করি।
আইটেম, ফাইটেম, মাইটেম সব ধরনের গান করতে হবে, নয়তো প্লেব্যাক হবে না। তবে 'মিস বুবলি'র পর এবারই প্রথম আইটেম গাইলাম। ওটার পর যতগুলো ফিল্মে গান করেছি, সবগুলোই ছিল মেলোডিয়াস ও রোমান্টিক গান।
সম্পাদক ও প্রকাশক : সবুজ বালা
স্বত্ব © আলোকিত জনপদ মিডিয়া ২০২৪