নুসরাত আনিকা,মাদারীপুরঃ
২৮শে ফেব্রুয়ারী মাদারীপুর পৌরসভা নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থাহীনতা জানিয়ে বিএনপি মেয়র প্রার্থী মোঃ জাহান্দার আলী মিয়া বলেছেন, সততা যদি না থোকে তাহলে ইভিএম এ ভোট চুরির সুযোগ আছে। এমন একটি সফটওয়ার আছে যেখানে ভোট রাখা যায়। তাই আমি নির্বাচনী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করবো নির্বাচন অর্থবহ করতে হলে প্রতিটি সেন্টারে একজন করে ম্যাজিস্ট্রট রাখার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ জানান। গতকাল তার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের দেয়া এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি এসব কখা যানান। তিনি আরো বলেন, মাদারীপুরে ইভিএম চালুর সময় এখনো হয়নি। মানুষ এখনো ইভিএম সম্পর্কে অবগত নয়। আর এতে ভোট কাস্টিং এত কম আসবে যা মানুষ কল্পনাও করতে পারবে না। আমি আশা করবো যারা (ইভিএম) চালাবেন তারা যেন সতর্ক থাকেন। আমি বিশ্বাস করি ভোট সুষ্ঠ হলে ধানের শীষ বিপুল ভোটে বিজয়ই হবে। ভোটের আর মাত্র চারদিন বাকি রেখে মাদারীপুর পৌর এলাকায় অলি-গলিতে চলছে প্রচার। পোস্টার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে চারপাশ, মাইকে বাজছে গান, ভোট চেয়ে প্রার্থনা। দ্বারে দ্বারে হবু মেয়র-কাউন্সিলররা। প্রচারে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী বেশ তৎপর রয়েছেন। নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের জন্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘন করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। মাদারীপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মো: মনিরুজ্জামান বলেন, আপনার ইতিমধ্যে রাজৈর পৌরসভা নির্বাচন দেখেছেন, সেখানে (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন হয়েছে এবং সুষ্ঠ হয়েছে। আমরা আশা করি মাদারীপুরেও (ইভিএম) পদ্ধতিতে একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ ভোট হবে। নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন এর বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমরা ২ নং ওয়ার্ডে একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম এবং তাদের নোটিশ দিয়েছি। এখন পর্যন্ত আর কোন অভিযোগ পাইনি। আমরা অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নিব। আগামী ২৮ শে ফেব্রুয়ারী ৫ম ধাপের মাদারীপুর পৌরসভা নির্বাচন।এনিয়ে মাদারীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৮ জন ও সাধারণ ওয়াডের কাউন্সিলর ৩২ জন
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত