রণিকা বসু(মাধুরী) বিশেষ প্রতিনিধি:
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন এর ডাকে সাড়া দিয়ে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সর্বস্তরের সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। সেই মুহুর্তে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইউব খান বঙ্গবন্ধুকে ১নং ও লেঃ মোয়াজ্জেম হোসেনকে ২নং অভিযুক্ত করে মোট ৩৫ জনকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে। এই মামলা থেকে বঙ্গবন্ধুসহ সকলকে মুক্তির জন্য বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুসহ সকলকে মুক্ত করে। সেই মুক্তির দিবসটিতে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ পালন করার মধ্য দিয়ে লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনসহ ৩৪ জনকে জাতীয় বীর ঘোষণার দাবীতে মানববন্ধন করেছে আজ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বিকাল ৪ টায়, জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বর, ঢাকায়। বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এম.এ জলিল সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের আহবায়ক, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, কৃষক লীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, বাংলাদশ সোস্যাল এ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম প্রধান সমন্বয়ক মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী,ন্যাপ-ভাসানী চেয়ারম্যান এম.এ ভাসানী,বাংলাদেশ কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান দেশ, বরিশাল বিভাগ সমিতি যুগ্ম সম্পাদক আ.স.ম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, বাকশাল যুগ্ম সম্পাদক হোসনে আরা হিরা, নারী নেত্রী শাহানা আক্তার শিলা, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি ফাতেমা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারহানা ইয়াসমিন মনি ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ। বক্তরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা যেই মুহুর্তে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে ১নং আসামী লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনসহ মোট ৩৫ জনকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। এই অভিযুক্তদের মুক্ত করার লক্ষ্যে বাঙালি ছাত্র-জনতা, পেশাজীবী, শ্রমিক-কৃষক ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করার মাধ্যমেই ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সামরিক জান্তারা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় এবং বঙ্গবন্ধু ও লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেমসহ সকলকে মুক্তি দেয়। এই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনসহ সবাইকে জাতীয় বীর ঘোষণার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবি জানান। সভাপতির বক্তব্যে এম.এ জলিল বলেন, ৬৯’র গণআন্দোলনের মাধ্যমে আগরতলা অভিযুক্ত মামলার সকলকে মুক্তি দেওয়া হয় ২২ ফেব্রুয়ারি এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ঐদিন থেকেই বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার জন্য জোর তৎপরতা চালায়। তাই আমরা আগরতলা মামলায় অভিযুক্তদের স্মরণ করি এবং তাদের সাহসী ভূমিকার জন্য আমরা সাহস যুগিয়েছি।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত