বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ইসির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপিকে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সাময়িক স্থগিতের ঘোষণা ইন্দোনেশিয়ার মুসলিমদের জন্য এলো সুখবর দুদকের মামলা: সরকারি তেল কোম্পানির ১১৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ বিশেষ প্রিজন ভ্যানে ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হলো ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে রাজৈরে শহীদ মিনার ভাঙচুর করে ঘর তোলার চেষ্টা, এলাকায় উত্তেজনা সুদে কারবারীদের ফাঁদে এক নিরীহ পরিবার সুবর্ণচরে জমি দখল ঠেকাতে স্থানীয়দের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত নড়াইলে ডিবির দুই পৃথক অভিযানে ৩৫ পিস ইয়াবাসহ দুইজন গ্রেপ্তার

লোহাগড়ায় ইউপি ভূমি সহকারী মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ২৮২ Time View

 মোঃনয়ন শেখ,স্টাফ রিপোর্টার :

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি এলাকাবাসী। সম্প্রতি লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের ভূমি সহকারী সৈয়দ মুস্তাফিজুর রহমান দ্বারা ওই ইউনিয়নের অসহায় দরিদ্র ও সাধারণ ভূমি মালিকগণ, জমির সরকারি খাজনা পরিশোধ করতে গেলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সরকারি পাওনা থেকে অতিরিক্ত সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা ঘুষ না দিলে দাখিলা দেওয়া হয় না। কোন জরুরী দাখিলার প্রয়োজন হলে, যেমন ব্যাংক ঋণ বা জমি রেজিস্ট্রি এবং নাম জারীর ক্ষেত্রে খাজনা পরিশোধ করতে গেলে তার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার থেকে হাজার হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাকে দাখিলা দেওয়া হয় না। ঘুষ গ্রহণ করে বিভিন্ন সময় দাখিলায় জমির পরিমাণ ঠিক রেখে রেজিস্ট্রারে কম লিখে দাখিলা দেওয়ার কারণে জমি ক্রয়কারী মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জমি খাস বানিয়ে মামলা করে দেওয়ার নামে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভূমি মালিকদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন ভূমি মালিকগন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খাজনা পরিশোধ করতে আসলে খাজনা পরিশোধ কারীর নিকট হইতে দাখিলায় উল্লেখিত টাকার ১ থেকে ১০ হাজার টাকা বেশি গ্রহণ করেছে। এছাড়াও নামজারির প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমি মালিকদের অফিসে ডেকে তার পক্ষে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা দিঘলিয়া ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি রাগানিত্ব হয়ে উচ্চ স্বরে বলেন, আমার সাথে যে কথা বলছেন আপনাদের লিখিত কোন পারমিশন আছে। আমার সাথে কথা বলতে হলে এসিল্যান্ডের পারমিশন নিয়ে আসতে হবে। তা না হলে আপনাদের যা ইচ্ছা তাই লিখেন। এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাখি ব্যানার্জির সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category