ইমরুল শাহেদঃ
টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেতা কোহিনূর আলম বলেছেন, ছবি মুক্তির জন্য এখন আর কাউকে কাকরাইল ফিল্ম পাড়ায় যেতে হবে না। যে কেউ চাইলেই এ্যাপসের মাধ্যমে তার ছবিটি মুক্তি দিয়ে দিতে পারবেন। প্রযোজক শামসুল আলম অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও নাটক প্রযোজনা করে থাকেন। তিনি বলেন, এ্যাপসে শুধু চলচ্চিত্রই নয়, নাটকও মুক্তি দেওয়া যায়। সুতরাং নাটক নির্মাণ করে এখন আর টিভি চ্যানেলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। পরিচালক নাজমুল হুদা নাজিম বলেছেন, হাজার পঁচিশেক টাকা হলে একটা এ্যাপস চালু করা যায়। কিন্তু কনটেন্টস লাগে কোটি টাকার। শুধু একটি এ্যাপস চালু করলেই হবে না। সেটিকে চালিয়েও রাখতে হবে। এভাবে এ্যাপস এবং সিনেমা হলের মধ্যে একটা পরোক্ষ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। একজন নাট্য নির্মাতা জানান, টিভি চ্যানেলগুলোর নিজস্ব প্রোডাকশন ছাড়া বাইরে থেকে তারা কোনো নাটক কিনেন না। নাটকের জন্য চ্যানেলগুলো নির্ভর করে বিভিন্ন এজেন্সির ওপর। এভাবে বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেটের সৃষ্টি হয়েছে। এখন বাইরের লোকজন নাটক বানিয়ে অসহায়ের মতো থাকে। নির্মাণের সময়ও অনেক নির্মাতা জানেন না, তার নাটকটি কোথায় প্রচার হবে। তবে তাদের কাছে শেষ ভরসা এ্যাপস বা ইউটিউব। অন্যদিকে কিছু টিভি অভিনেতা ও অভিনেত্রী পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দিয়েছেন। কারও কারও পারিশ্রমিক এক লাখ টাকার কোঠায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু নাটক বিক্রির অর্থ কমে গেছে। সংশ্লিষ্টদের পারিশ্রমিক এবং নাটক বিক্রির অর্থের সঙ্গে একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কোহিনূর আলম বলেন, তারা টিভি পারফর্মার হিসেবে পরিচিত হলেও মূলত হয়ে গেছে ইউটিউব তারকা। তাদের পারিশ্রমিক বাড়া বা কমার বিষয়টি টিআরপি নয়, ভিউয়ার্স নির্ভর হয়ে পড়েছে। তাদের জন্য দর্শক নামটি বদলে গিয়ে হয়ে গেছে ভিউয়ার্স। ‘ভাইরাল গার্ল’ নাটকটির একদিনে দশ ভিউ হওয়ায় বেশ উল্লসিত মেহজাবীন। আসলে তারকা বা নামী-দামী তারকা কোনো বিষয় নয়। এখন তারকা হচ্ছে কনসেপ্ট। রায়হান রাফির ‘জানোয়ার’ ওয়েব ফিল্মে তারকা শ্রেণীর কেউ নেই। তারপরও ফিল্মটি দর্শক বা ভিউয়ার্স দেখেছে। ভিউয়ার্স বৈশ্বিক খোলা বিনোদনে এতোবেশি উপাদান দেখছে যে, তার থেকে আলাদা কিছু না সেটা তারা দেখবে না এবং আলোচনা করবে না। পরিবর্তনশীল সময়ের নিরিখেই এই বদলে যাওয়াকে মেনে নিতেই হবে।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত