বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১১ পূর্বাহ্ন

মাদারীপুরের কালকিনিতে দৃষ্টিনন্দন প্রাথমিক বিদ্যালয়

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৩৩৮ Time View

নুসরাত আনিকা, মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ৫৬নং খাসেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সৌন্দর্যবর্ধনে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। উপজেলার মধ্যে এই বিদ্যালয়টির গুনে-মানের কথা সর্বমহলের মুখেমুখে রয়েছে এখন। শিক্ষকদের আপ্রাণ চেষ্টা আর পরিশ্রমের বিনিময় বিদ্যালয়ের নামটি বর্তমানে প্রশংসায় ভাসছে উপজেলাবাসীর কাছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বাঁশগাড়ি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৫৬নং খাসেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৮২ইং সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের ভবনটি নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। রংয়ের তুলিতে ঝকঝক করছে বিদ্যালয়টির চারিপাশ। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ছাত্র ১৭৫ ও ছাত্রী ১৫৮জন অধ্যয়নরত আছে। মোট বৃত্তি পেয়েছে ১২জন শিক্ষার্থী। এখানে কেন্দ্র হিসেবে পিএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টি মোট ৬জন শিক্ষক রয়েছে, তারা সকলেই নারী শিক্ষক। বর্তমানে এ বিদ্যালয়টিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন আর্শাফুন নাহার নামে এক নারী শিক্ষক। এক সময় এই বিদ্যালয়টি ধীর গতিতে চললেও আর্শাফুন নাহার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককের দায়িত্ব পাওয়ার পর সফলতার সাথেই স্কুলটি পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পরেই উপজেলার মধ্যে বিদ্যালয়টি সুনামের সঙ্গে মাথা উচু করে দাড়িয়েছে। সরকারি বরাদ্দ বাদেও আর্শাফুন নাহার নিজের অর্থ খরচ করে বিদ্যালয়টির উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন। তবে সমস্যা হচ্ছে একটাই প্রয়োজনের তুলনায় বিদ্যালয়ের নামে উন্নয়নে বরাদ্দ হয়না। বর্তমানে শিক্ষকদের অর্থায়নে বিদ্যালয়ের ছাদ বাগান করার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিদ্যালয় প্রায় সকল উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন প্রকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য শেখার জন্য সব রকম চিত্র বিদ্যালয়ের দেয়ালে তুলে ধরা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শিক্ষার্থীদের বড় হওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক আর্শাফুন নাহার সব রকম প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। কোমলমতী শিক্ষার্থীদের জাতীয় কবি, সাহিত্যিকদের ইতিহাস জানার জন্য বিদ্যালয়ের দেয়ালে ফুটিয়ে তুলেছেন বিভিন্ন চিত্রকর্ম। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকিয়া পারভিন, জান্নাতুল জাহান ও সুমি আক্তার বলেন, আমাদের প্রধান শিক্ষক আর্শাফুন নাহারের কারণে বিগত দিনের চেয়ে আমাদের বিদ্যালয় বেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখার প্রতি ঝুকছে। তিনি মনের মাধুরী দিয়ে বিদ্যালয় উন্নয়ন কাজ করছেন। আমাদের বিদ্যালয়ের সাজগোছ দেখে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় অনুপ্রাণিত হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আর্শাফুন নাহার বলেন, আমার যতটুকু সম্ভব সবটুকু বিদ্যালয়ের জন্য প্রাণখুলে দিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ায় মনোযোগী হতে বিদ্যালয় বিভিন্ন আলপনা একে শিক্ষার্থীদের মন প্রফুল্ল রাখার চেষ্টা করছি। যাতে করে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে আগ্রহ বাড়ে। বর্তমানে আমাদের বিদ্যালয় একটি বাংলাদেশের মানচিত্র করার চিন্তা রয়েছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহসভাপতি বাদল বেপারী জানান, আমাদের প্রধান শিক্ষক আর্শাফুন নাহার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মায়ের আদর দিয়ে লেখা পড়া শেখাচ্ছেন। এক কথায় বলায় তিনি অলরাউন্ডার শিক্ষক। শিক্ষা, খেলাধুলা ও বিনোদনসহ সকল প্রকার যোগ্যতা রয়েছে প্রধান শিক্ষকের। সকল যোগ্যতার ভিত্তিতে আমাদের বিদ্যালয়টি প্রশংসায় ভাসছে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনের কাছে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category
Adsense