স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়ার ৮৯নং মৌজার চূড়ান্ত যাঁচের দায়িত্ব পায় সেটেলমেন্ট অফিসের কপিস্ট কাম বেঞ্চ সহকারী রবিউল ইসলাম। কিন্তু প্রায় এক বছর ধরে সে মৌজার কাজের নেই কোন অগ্রগতি। গত ১৫ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে ইউপি মেম্বর জিরু কাজীসহ এলাকাবাসী যশোর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার ৮৯নং লোহাগড়া মৌজার চূড়ান্ত যাঁচের দায়িত্ব পায় সেটেলমেন্ট অফিসের কপিস্ট কাম বেঞ্চ সহকারী রবিউল ইসলাম। করোনা কালীন সময়েও তার সহযোগী চিহ্নিত দালাল, বাটপার, একাধিক মামলার আসামি ডাকাতি মামলায় কয়েকবার কারাভোগকারী মোঃ শরিফুল (ইবি) এবং আরেক চিহ্নিত দালাল জিল্লু। এদেরকে দিয়ে সমস্ত ৩০ ধারা আপত্তি কেস, ৩১ ধারা আপিল কেস সব খোলা খতিয়ানে হয় নোটিশ করে। তাছাড়া লোহাগড়া বাজারের জমি হিন্দুদের নামের এস এ রেকর্ডীয় জমি দেখে ইবি এবং জিল্লুকে দিয়ে ভূমি মালিকদেরকে একাধিক নোটিশ দেয়। সরকারি চাকুরি না করেও ওই দুই দালাল সাধারণ মানুষদের নোটিশ করে কি ভাবে তার এলাকার মানুষের বোধগম্য নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের একাধিক কর্মচারী জানান, মৌজা রেকর্ড রুমে না রেখে তার ব্যক্তিগত বক্সে ভলিয়ম কেস, খসড়া রেখে রাত্রে ইবি ও জিল্লুকে নিয়ে অফিসে বসে কেস টেম্পার, খতিয়ান টেম্পার, কেসের পাতা পাল্টানোসহ নানা অপকর্ম করে। তাছাড়া ইবি এবং জিল্লু নোটিশ দিয়ে আসা লোকদের কাছ থেকে হাজিরা বাবদ ৫০০ শত টাকা থেকে ৭০০ টাকাসহ বিভিন্ন অঙ্কের টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ইবি, জিল্লু এবং কপিস্ট কাম বেঞ্চ সহকারি রবিউল ইসলাম এর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে বিভিন্ন প্রকার অপমান, মারধর ও কাগজপত্রের ব্যাগসহ কেড়ে নিয়ে নেয়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত লোহাগড়া সেটেলমেন্ট অফিসারের কপিস্ট কাম বেঞ্চ সহকারী রবিউল ইসলাম নিজের দোষ আড়াল করতে সাংবাদিকদের প্রশ্নউত্তরে ছয়-নয় বোঝাবার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় লোহাগড়া সেটেলমেন্ট অফিসের সহকারি (এএসও) নিরাঞ্জন কুমার সাংবাদিকদের লোহাগড়া উপজেলার ৮৯নং লোহাগড়া মৌজার কিছু হালদাগের খতিয়ান দেখান কিন্তু সেখানে কাটা ছিড়া থাকায় তিনি কোন সদুত্তোর দিতে পারেনি। যশোর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার কামরুল আরিফ বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর রবিউল ইসলামের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।’তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলোমান রয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply