মোঃ বাবুল রানা ভোলা জেলার প্রতিনিধি
বলছিলাম ভোলা জেলা ধীন দৌলতখান উপজেলার বাংলাবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস এই গোলাম মোস্তফা সহেবের কথা। “মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার, পুলিশ হবে জনতার” এই স্লোগানকে বাস্তবায়ন করতে দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে ভোলায় একজন আদর্শবান চৌকস পুলিশ অফিসার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন দৌলতখান উপজেলার বাংলাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এস আই গোলাম মোস্তফা। করোনা মহামারিতে সবাই যখন নিজে সুরক্ষিত থাকতে ঘরে ছিলেন, তখন সবকিছু উপেক্ষা করে জীবন মৃত্যু বাজি রেখে নিজের দায়িত্বে অটল এই সাহসি এস আই গোলাম মোস্তফা। কোনো থানায় বা জেলায় যখন অপরাধ দিনদিন বাড়তেই থাকে আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি শুরু হয়। খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই রাহাজানি, চাঁদাবাজি,মাদক, প্রকাশ্য দিবালোকে শুরু হয়। কোন মতেই প্রশাসন যখন তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না ঠিক তখনই ওই থানায় বা জেলায় দুর্দান্ত সাহসী ও সৎ পুলিশ অফিসার পাঠানো হয়। আর ওই পুলিশ অফিসার তার সৎ সাহসকে পুঁজি করে জনগণের শান্তির জন্য দিনরাত এক করে সকল অন্যায়কে বিতাড়িত করে সন্ত্রাস দমনে সফল হয়। ঠিক তেমনি একজন পুলিশ সদস্য বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিসে যোগদানের পর পদে পদে এগিয়ে আসছে এস আই গোলাম মোস্তফা। তিনি পেশাদারিত্বের সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব আন্তরিকতার সঙ্গে পালনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। পুলিশ জনগনের বন্ধু, মানুষের ক্ষতি না হয়; তিনি এমনটাই তার সাহসিকতার সাথে কাজ করে আসছেন। অন্যায়ের সাথে আপোষ না করা একজন সৎ সাহসি পুলিশ সদস্য। বাংলাবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদানের পর দিন রাত প্ররিশ্রম করে প্রতিটি পাড়া, মহল্লায় চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করে তাদের গ্রেফতার, বাল্যবিবাহ, মাদক, ইভটিজিং, যৌতুক প্রতিরোধে উঠান বৌঠক। বিভিন্ন যানবাহন, হত্যা ও অপহরণ মামলার রহস্য উন্মোচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছেন এই এস আই গোলাম মোস্তফা। দক্ষতার বর্ণনা স্বাক্ষ্য দিতে পারবে তার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষ, সহকর্মী কিংবা যাদের সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছে তারা ভালো বলতে পারবেন। এলাকাবাসীরা জানান, এস আই গোলাম মোস্তফা ভাইকে খুব কাছ থেকে দেখেছি যেমন পরিশ্রমী তেমনী তার ধৈর্য্যশক্তি। তিনি একটি কথাই বলেন, মানুষের প্রতি মায়া নিয়ে নিঃস্বার্থভাবে দায়িত্ব পালন করলে যে কোনো পুলিশ অফিসারই প্রশংসা পাবেন। তবে শুধু প্রশংসা পাওয়ার জন্য কিছু করা উচিত নয়। প্রশংসা কিংবা তিরস্কার এ দুটিই কাজের মূল্যায়ন। সবচেয়ে বড় তিক্ততা যখন ভালো কোনো উদ্যোগ কিংবা মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে গিয়ে চাপের মুখে পরে করতে না পারা। আর তা শুধু তিক্ততাই নয়, বড় কষ্টেরও বটে। মানুষের জন্য কাজ করা পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো কাজ। কোনো অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে পারা আমার জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দের এবং ভালো লাগার। আসহায় গরিব মানুষ এসে সাক্ষাৎ না পেয়ে ফিরে গেছে এমন উদাহরণ নেই। অভিযোগের ভিত্তিতে আলামত, তথ্য উপাত্ত নিয়ে মূল রহস্য উদঘাটন আসামী ডিটেক্ট ও দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা।এসবতিনি সত এবং নিষ্ঠার সাথে করে থাকেন।
Leave a Reply