
ইন্দোনেশিয়া সরকার এখন থেকে দেশটির মুসলমানদের জন্য স্ব-ব্যবস্থাপনায় ওমরাহ পালনের সুযোগকে আইনগত স্বীকৃতি দিয়েছে। নতুন আইনের মাধ্যমে দেশটিতে চালু হলো দুটি সমান্তরাল ব্যবস্থা—একটি হলো প্রচলিত ট্যুর অপারেটর-নির্ভর প্যাকেজ, আর অন্যটি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে পরিচালিত ‘স্বাধীন ওমরাহ’।
আইন অনুযায়ী, ইন্দোনেশীয় মুসলিমরা এখন চাইলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত এজেন্সির মাধ্যমে ওমরাহ করতে পারবেন, অথবা নিজেরাই সমস্ত ব্যবস্থাপনা করে তা সম্পন্ন করতে পারবেন।
রোববার (২৬ অক্টোবর) হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইচসান মারশা টেম্পো গণমাধ্যমকে জানান, “মূল পার্থক্য সেবা ও দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে। যারা লাইসেন্সপ্রাপ্ত ট্রাভেল অপারেটরের মাধ্যমে ওমরাহ করেন, তারা সরকার-নিয়ন্ত্রিত প্যাকেজ সুবিধা পান—যেমন ভিসা, টিকিট, হোটেল, পরিবহন ও ধর্মীয় নির্দেশনা।”
অন্যদিকে, স্বাধীনভাবে ওমরাহ করতে ইচ্ছুকদের সবকিছু নিজ উদ্যোগে সম্পন্ন করতে হবে, তবে সৌদি আরবের নিয়ম অনুযায়ী। মারশা আরও বলেন, “এই পদ্ধতিতে খরচ তুলনামূলকভাবে নমনীয় হবে, কারণ যাত্রী নিজেই সেবাদাতার সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করতে পারবেন এবং প্রয়োজনমতো প্যাকেজ ঠিক করতে পারবেন।”
উপ-হজমন্ত্রী দাহনিল আনজার সিমানজুন্তাক জানান, সৌদি আরবের হালনাগাদ ওমরাহ নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “সৌদি আরবের নীতিমালা অনুসারে আমাদেরও আইন সংস্কার করতে হয়েছে। তাই সংসদের সহযোগিতায় আমরা ‘স্বাধীন ওমরাহ’কে বৈধ করেছি।”
নতুন বিধানটি ২০২৫ সালের আইন নম্বর ১৪-এর ধারা ৮৬-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে ওমরাহ পালনের তিনটি পথের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে—প্রথমত লাইসেন্সপ্রাপ্ত অপারেটরের মাধ্যমে, দ্বিতীয়ত ব্যক্তিগতভাবে (স্বাধীন ওমরাহ), এবং তৃতীয়ত মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ব্যবস্থাপনায়।
সরকার জানিয়েছে, এই পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য হলো যেসব ইন্দোনেশীয় মুসলিম আগে থেকেই নিজ উদ্যোগে ওমরাহ পালন করছিলেন, তাদের জন্য আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন