বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন

সুদে কারবারীদের ফাঁদে এক নিরীহ পরিবার

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১১ Time View

চিহ্নিত সুদে কারবারী তাপস কুমার বিশ্বাস ও দেলোয়ার হোসেন পথিক এর মামলা-হামলার ফাঁদে পড়ে ভিটেবাড়ি হারানোর ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিরীহ এক পরিবার।

ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া গ্ৰামে। অভিযোগের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে একাধিক এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের দ্বারে দ্বারে ঘুরার পাশাপাশি বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না পরিবারটি। তারা আরো জানান, সুদে ব্যবসায়ী তাপস কুমার বিশ্বাস রামদিয়া সরকারি শ্রী কৃষ্ণ কলেজ (এস কে রামদিয়া কলেজ) এর অফিস সহকারী ও দেলোয়ার হোসেন (পথিক) ফুকরা গ্ৰামের প্রভাবশালী ও লাঠিয়াল ব্যক্তি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কোন কথা বলেন না।

নিরীহ পরিবারের প্রধান আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা (অবঃ) কানন বালা গাইন (৬৭) আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, বিগত ২০১৫ সালে তাপস কুমার বিশ্বাসের কাছ থেকে ৫৫ হাজার টাকা সুদে নিয়েছিলেন তিনি। লেনদেনের সময় তার নিজ নামের একাউন্টের একটি স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক জামানত হিসেবে দিয়েছিলেন। কিছুদিন পরে টাকা পরিশোধ করা হলেও প্রতারক সুদ ব্যবসায়ী তাপস জামানতের চেকটি আর ফেরত না দিয়ে হারিয়ে যাওয়ার নাটক সাজিয়েছিলো। বলেছিলো আপনি তো টাকা পরিশোধ করেছেন। ওই চেকের আর কোন কাজ নেই, মনে করবেন চেক ছিঁড়ে ফেলেছি। এখন দীর্ঘ ৯ বছর পরে এসে ওই চেকে ৮ লক্ষ টাকা লিখে আমার নামে কাশিয়ানী আমলী আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ও আমার সন্তানকে হয়রানি করছে। আমার বাড়ী ঘর ও ছেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের জন্য হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েছি তারা কোন প্রতিকার দিতে পারেননি। আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি আদালতও আমার কথা বিশ্বাস করছে না। আমি আমার পরিবার নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। আমি এই প্রতারক ও সুদে ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

সুদের ব্যবসা ও প্রতারণা করার অভিযোগে অভিযুক্ত তাপস কুমার বিশ্বাস অভিযোগ অস্বীকার করলেও দেলোয়ার হোসেন পথিক দাম্ভিকতার সুরে বলেন, আমি টাকা পাবো, তাই মামলা করেছি, পুরো ৮লাখ টাকাই তাদের দিতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফুকরা গ্ৰামের একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেন, দেলোয়ার হোসেন পথিক একজন সুদখোর ও প্রতারক। সে নিজেকে আর্মি অফিসারের পিতা পরিচয় দেয়। বাস্তবে তার সন্তানকে ঘুষ দিয়ে সৈনিক পদে চাকুরী দিয়েছেন। সে বিভিন্ন মানুষকে লেনদেনের ফাঁদে ফেলে মামলা হামলা দিয়ে বাড়তি টাকা পয়সা ও জায়গা জমি হাতিয়ে নেয়। এলাকার প্রভাবশালী ও লাঠিয়াল হওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কথা বলেনা।

এ বিষয়ে রামদিয়া সরকারি শ্রী কৃষ্ণ কলেজ-এর অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, কোন সরকারি চাকুরিজীবীর সুদের ব্যবসা করার সুযোগ নেই। আমি প্রমান পেলে দাপ্তরিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category
Adsense