মাদারীপুরের কালকিনিতে একটি শোভাযাত্রা ও পথসভায় টাকা দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন জায়গা হতে লোকজন ভাড়া করে এনে পরবর্তীতে তাদেরকে টাকা না দেয়ার অভিযোগে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২ অক্টোবর)দুপুরে কালকিনি পৌরসভার মাছবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিএনপির ব্যানারে রেজাউল করিম নামের এক ব্যক্তি মাদারীপুুর-৩ আসনের বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল হতে শোভাযাত্রা ও পথসভা করেন। এতে টাকা দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন এলাকা হতে লোকজন ভাড়া করে আনা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে দেয়া কথা মতো টাকা না দেয়ায় বেশকিছু মহিলাদের তোপের মুখে পড়েন রেজাউল করিমের এক কর্মী। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
পথসভায় আসা একাধিক মহিলা বলেন,"আমাদের টাকা দেয়ার কথা বলে এনে এখন টাকা দিচ্ছেনা। আমরা বৃষ্টির ভিতর ঘর সংসারের কাজ ফেলে কয়েকটি টাকার জন্য এখানে এসেছিলাম। এখন সেই টাকা না দিয়েই তারা এখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।"
এদিকে ভাড়া করে আনা লোকজনদের টাকা না পেয়ে হট্টগোলের একাধিক ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।এসব ভিডিওর কমেন্টে দেখা যায় এলাকার অনেকেই এই পথসভাকারী রেজাউল করিমকে চিনেনই না। অনেকে আবার মনে করছেন রেজা সস্তা পরিচিতি লাভের আশায় এমনটা করছেন।মূলত ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে যেসব লোকজন আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় চলতো,তারা এখন রুপ পাল্টে নিজেদের বিএনপি দাবী করছে বলে মনে করছেন অনেকে।
এ বিষয়ে জানতে রেজাউল করিমের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক বেপারী বলেন,"রেজাউল করিমকে একজন বাটপার ও চাঁদাবাজ হিসেবে চিনি।সে একসময় সেনাবাহিনীতে চাকরী করতো। শুনেছি চাঁদাবাজির দায়ে তার চাকরী চলে গিয়েছে। আমার ৩৬ বছর রাজনীতির বয়সে আমি কখনোই তার নাম বিএনপির কোথাও দেখিনি।এখন কোথা হতে উড়ে এসে নিজেকে বিএনপি দাবী করছে জানিনা।সে বিএনপির ব্যানারে শোভাযাত্রা করেই মনোনয়ন পাওয়ার আশা কিভাবে করে! মনোনয়ন কারো হাতের মোয়া নয়।"
টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে এনে টাকা না দেয়ায় হট্টগোলের বিষয়ে তিনি বলেন,"এসব করে রেজাউল করিমের মতো টাউট বাটপাররা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।বিএনপির সাথে এদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত