যশোরের শার্শায় দু’সন্তানের জননীকে (৩৮) গণধর্ষণের অভিযোগে চারজন গ্রাম্য মাতব্বরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার মূল আসামি সিরাজুল ইসলামকে (৪৮) সিরাজগঞ্জ থেকে আটক করেছে পুলিশ।
সূত্রে জানা যায়, গত ১ জুলাই রাত সাড়ে ৮ টার দিকে শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামে দু’সন্তানের জননী গণধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতব্বররা সালিশ বৈঠকে বসে ধর্ষণে জড়িত কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে আমজেদ আলী (৪৮), আক্তারের ছেলে আব্দুল্লাহ (১৭) ও টুকুর ঘর জামাই সিরাজ (৪৮) কে বেদম মারধর করেন। তারা অভিযুক্তদের তিন লাখ টাকা জরিমানা করেন। আসামিরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি শার্শা পুলিশ জানতে পেরে ভুক্তভোগী ওই নারীকে হেফাজতে নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা জানান, গৃহবধূর স্বামী খুলনায় ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এমন খবরে শার্শা পুলিশ খুলনা থেকে সোমবার (৭ জুলাই) তার স্বামী ইব্রাহীম ওরফে মোস্তকে শার্শা থানায় নিয়ে আসে। ইব্রাহীম তার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ৩ জনের বিরুদ্ধে ও গ্রাম্য মাতব্বর ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী জানান, প্রতিবেশী আব্দুল্লাহ প্রায় সময় তার স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করত গত মঙ্গলবার তিনি বাড়িতে ছিলেন না। এই সুযোগে তার স্ত্রীকে প্রতিবেশী আব্দুল্লাহ, আমজেদ ও সিরাজ ধর্ষণ করে।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। ধর্ষণের মূল আসামি সিরাজকে সিরাজগঞ্জ থেকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত