বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৬ অপরাহ্ন

ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার আত্মপক্ষ সমর্থনের তারিখ ১৪ জুলাই নির্ধারিত

খেলা ডেস্ক
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫
  • ৩২৫ Time View
নাসির হোসাইন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি। ছবি : সংগৃহীত

অন্যের স্ত্রীর প্রলুব্ধকরণ, ব্যভিচার ও মানহানির অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় আদালত আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামী ১৪ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছেন। এই শুনানির পর মাত্র দুই ধাপেই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

মঙ্গলবার (০১ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানি পেছানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে নতুন দিন হিসেবে ১৪ জুলাই ধার্য করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসাইন আদালতে হাজিরা দেন, কিন্তু তার স্ত্রী তামিমা উপস্থিত না থেকে সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন, যা আদালত মঞ্জুর করে।

এর আগে ১৬ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়, মোট ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি একই আদালত নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেন। তবে নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তারকে মামলায় অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর ৬ মার্চ তাদের আইনজীবী অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সুমি আক্তারের অব্যাহতির বিরুদ্ধে রিভিশন করেন। ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদ উভয় পক্ষের রিভিশন অবেদন নামঞ্জুর করে মামলাটি চলমান রাখেন এবং সুমিকে অব্যাহতি দেন।

মামলার পটভূমি হিসেবে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মির সাবেক স্বামী রাকিব হাসান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিবাহ হয়েছিল এবং তাদের আট বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তাম্মি পেশায় কেবিন ক্রু ছিলেন। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও নাসিরের বিয়ের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রাকিব বিষয়টি জানতে পারেন এবং পরবর্তীতে পত্র-পত্রিকায় বিস্তারিত খবর পান।

অভিযোগে বলা হয়, বৈবাহিক সম্পর্ক চলাকালীন তাম্মি নাসিরকে বিয়ে করেছেন, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইনের পরিপন্থী। নাসির তাম্মিকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন। এর ফলে রাকিব ও তাদের কন্যা মারাত্মক মানসিক কষ্টে পড়েছেন। আসামিদের এই অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে রাকিবের মানহানি ঘটেছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category
Adsense