বিদেশ যাওয়া প্রবাসীদের হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতিরোধ করতে হবে এবং রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের যথাযোগ্য রাষ্ট্রীয় সম্মান দিতে হবে। এই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ রেমিটেন্স ওয়ার ফাউন্ডেশন সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ৩০ জুন ২০২৫ ইং সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় রাজবাড়ি সদর উপজেলার ৯ নং রামকান্তপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড, বেখুলিয়া নতুনপারা গ্রামে উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভাটি বাংলাদেশ রেমিটেন্স ওয়ার ফাউন্ডেশন পরিচালনায় এবং বাংলাদেশ সাপোর্টার্স ফোরামের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়ালি প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাপোর্টার্স ফোরামের রাজনৈতিক বিশ্লেষক, গবেষক ও আমেরিকা প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা ক্লিনটন হাওলাদার পাভেল।
উক্ত উঠান বৈঠকে বিদেশগামী নারী ও পুরুষদের দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে যাত্রার সময় কোনো ধরনের হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন না হওয়ার বিষয়ে সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেমিটেন্স ওয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল করিম শেখ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আত্মনির্ভরশীল উন্নয়ন সংস্থার পিডি মোঃ কবির মোল্লা, এছাড়া এসডিডিএর পিও রেবেকা আক্তার, ব্যাংক এশিয়া পিএলসি নতুন বাজার, রাজবাড়ী আউটলেটের মোঃ আলাউদ্দিন মিয়া (কাস্টমার সার্ভিস অফিসার) ও আহসানুল ইসলাম রাতুল (কাস্টমার সার্ভিস অফিসার) সহ এলাকার নারী-পুরুষরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মিয়া, অন্য বক্তৃতা প্রদান করেন রেবেকা আক্তার, মোঃ কবির মোল্লা ও স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিবর্গ। আলোচনায় তুলে ধরা হয় বিদেশ গমনোচ্ছুক নারী-পুরুষদের প্রতি বিভিন্ন ধরনের হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির কারণসমূহ এবং বিদেশে কাজ না পেয়ে দেশে ফিরে আসার পরিস্থিতি।
বাংলাদেশ রেমিটেন্স ওয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফজলুল করিম শেখ বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে ওঠার পরই বিদেশ যাওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, দালাল ও ভুয়া রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে দূরে থেকে সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে ভিসা যাচাই-বাছাই করে তবেই বিদেশ যাত্রা করা উচিত। তিনি নিশ্চিত করেন যে, বাংলাদেশ রেমিটেন্স ওয়ার ফাউন্ডেশন থেকে যারা বিদেশ যেতে চান তাদের বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হবে, যাতে কেউ হয়রানি বা আর্থিক ক্ষতির শিকার না হন। এই সেবার জন্য কোনো ধরনের ফি বা অর্থ গ্রহণ করা হবে না।
চেয়ারম্যান মহোদয় আরও বলেন, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি জানান, পর্যায়ক্রমে সকল জেলায় বিদেশগামীদের জন্য জেলা ভিত্তিক হেল্প সেন্টার চালু করা হবে এবং তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। সভার শেষে চেয়ারম্যান মহোদয় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
Leave a Reply