নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক নারী ও তার মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর আগে, গত রোববার (২১ অক্টোবর) রাতে উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের একটি দুর্গম এলাকায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন হাসান (৩৬) ও হারুন (৩২), যাদের বাড়ি একই ইউনিয়নে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার ৩৫ বছর বয়সী নারীর স্বামী চট্টগ্রামে গাড়িচালক হিসেবে কাজ করেন। ওই নারী তার মেয়েকে নিয়ে উপজেলায় চর এলাহী ইউনিয়নের দুর্গম এলাকায় নিজ বাড়িতে থাকতেন। তার দূর সম্পর্কের এক দেবর প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসতেন। এ নিয়ে স্থানীয় রাশেদ, সাইফুল, হাসান, হারুন, রাজু ও ইব্রাহিম তাদের মা-মেয়ের চলাফেরা নিয়ে সন্দেহ করতেন।
রবিবার রাতে, ১১টার দিকে ওই ছয় যুবক ভুক্তভোগীর বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা নারীর দূর সম্পর্কের দেবরকে (২১) বেঁধে ফেলে এবং নারী ও তার মেয়েকে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, তাদের মধ্যে তিনজন তাকে টেনে বাড়ির পুকুরপাড়ে নিয়ে যায়, এবং অন্যরা তার মেয়েকে রান্নাঘরের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে রাত তিনটা পর্যন্ত পালাক্রমে তাদের ধর্ষণ করা হয়। যাওয়ার সময় ঘরের টাকা-পয়সা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্রও লুট করে নেয়। এ ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে দুইজনকে আটক করা হয়েছে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply