
ছাত্র আন্দোলনের সময় জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার মামলার বিচার প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বে একটি বেঞ্চে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রথম দিনেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়ার পরিকল্পনা করেছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম। সেই সঙ্গে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরও ট্রাইব্যুনালে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পর গণহত্যার বিচারকাজ শুরুর তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, বুধবার বিচারপতিদের সংবর্ধনা শেষে, বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ বিচারকাজ শুরু করবে। সেদিন প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রয়োজনীয় আবেদন করা হবে।
গত ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে, ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান। প্রসিকিউশন টিমের অন্য সদস্যরা হলেন মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল নোমান এবং মো. সাইমুম রেজা তালুকদার।