বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন যে, গণহত্যায় জড়িতদের বিচার অবশ্যই করতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর হতে হবে। নরসিংদীতে ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় একজনকে ছুরিকাঘাত করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন সময়ে যখন আওয়ামী লীগের নেতারা পালানোর রাস্তা খুঁজে পাচ্ছে না, তখন এ ধরনের ঘটনা কীভাবে সম্ভব? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদক্ষেপ নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন রিজভী। এই আলোচনা আয়োজন করে দ্যা মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, যেখানে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট রোখসানা খন্দকার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনার দেশে ফেরার বিষয়ে রিজভী বলেন, তিনি এখন ভারত ছাড়া অন্য কোনো দেশে আশ্রয় পাচ্ছেন না, এমনকি ইংল্যান্ডেও না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মহল জানে শেখ হাসিনা কতটা ফ্যাসিস্ট শাসক।
রিজভী আরও বলেন, গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করা অপরিহার্য, তবে সরকারের ভূমিকা ঢিলেঢালা বলে মনে হচ্ছে। ড. ইউনূসের মতো সম্মানিত ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে জাতি আরও ভালো কিছু আশা করে। তাকে দেশের দিকেও নজর দিতে হবে, কারণ সরকারের যদি এমন ঢিলেঢালা অবস্থান থাকে, তবে স্বৈরাচার আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাসের কাজের মূল্যায়ন কঠিন, কারণ তারা এলোমেলো পরিস্থিতিতে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। কোন কাজ আগে করতে হবে এবং কোনটা পরে, তা ঠিক করতে তাদের সমস্যা হচ্ছে। বর্তমানে শহীদদের সংখ্যা নির্ধারণ এবং চলমান লুটপাট বন্ধ করাই সবচেয়ে জরুরি।
রিজভী সরকারের সফলতার মধ্যে পূর্বাঞ্চলের বন্যা নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা উল্লেখ করেন, তবে এইচএসসি পরীক্ষার অটো পাশ করানোকে নেতিবাচক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেন, এবং বলেন যে, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার গুরুত্ব বোঝানো উচিত ছিল।