খিলগাঁও থানায় দায়ের করা চার মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে চারটায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য শুনানি করেন তার আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক জামিনের বিরোধিতা করেন।
শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেন। আদেশের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত ত্যাগ করেন, এবং বিচারকও দ্রুত আদালত ছেড়ে যান। ফলে বাকি মামলার শুনানি ঝুলে যায় এবং আদালতপাড়ায় অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে, ৭ অক্টোবর, সাবের হোসেন চৌধুরীকে পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর নাজমুল হাচান এই রিমান্ডের আবেদন করেন। অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন পরে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং সাবের হোসেন চৌধুরীকে ডিম নিক্ষেপের মাধ্যমে আক্রমণ করা হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে পুরো সময়জুড়ে সাবের হোসেন চৌধুরী হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ের কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীরা পল্টন এলাকায় সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন আসামিরা পরিকল্পিতভাবে সমাবেশটি বানচাল করার চেষ্টা করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশের কিছু কর্মকর্তার সহযোগিতায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। আন্দোলন দমনে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ, ককটেল হামলা, টিয়ারসেল নিক্ষেপ, সাউন্ড-গ্রেনেড বিস্ফোরণ ও গুলি চালায়। এতে বিএনপির কয়েকশো নেতা-কর্মী আহত হন এবং মকবুল হোসেন নামের একজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
ঘটনার তদন্তে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করতে এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সাবের হোসেন চৌধুরী গত ৬ অক্টোবর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন। তিনি সর্বশেষ ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত