প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য দেশের বিভিন্ন সেক্টরের সংস্কার করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যা নির্বাচনের চেয়েও অগ্রাধিকার পাবে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ হলো সংস্কার। "নির্বাচন যেকোনো সময় আয়োজন করা সম্ভব, তবে সংস্কার মানে হলো অতীতে যা ঘটেছে, তার পুনরাবৃত্তি না ঘটানো। শতভাগ সফল না হলেও আমরা জাতিকে একত্রিত করে যতটা সম্ভব সংস্কার করতে চাই।"
ড. ইউনূস আরও জানান, তাদের সংস্কার পরিকল্পনায় সংবিধান ও বিচারব্যবস্থার সংশোধন অন্তর্ভুক্ত। "ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আরও কমিশন গঠন করার পরিকল্পনা করছি। স্বল্প সময়ে সংস্কার কতটা করা সম্ভব তা নিয়ে আশাবাদী, কারণ ভেতরে সবাই সংস্কার চায়।"
সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য শুরুতেই চেষ্টা করা হলেও পুলিশের যথেষ্ট সহযোগিতা না পাওয়ায় সেনাবাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তবে, সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করবে এবং সরকার যা নির্দেশ দেবে, তা পালন করবে।
জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশগ্রহণের সময় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, "আমাদের দেশের পরিবর্তনের ফলে বিদেশি প্রতিনিধিরা আবারও আশাবাদী হয়েছেন। তাদের সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে, যা পরবর্তীতে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনায় রূপ নিয়েছে।"
তরুণ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সম্পর্কে তিনি জানান, তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন এবং যেকোনো সময়ের উপদেষ্টামন্ডলীর সঙ্গে তুলনীয়।
ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বিষয়ে জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, তিনি আগে থেকে এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। "সরকার পতনের পর শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে," তিনি যোগ করেন।
সৌজন্যে: প্রথম আলো
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত