অনেক বাংলাদেশি টাইম ম্যাগাজিনের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন, তবে ২০২৪ সালে নাহিদ ইসলামের নাম উঠে আসা বেশ চমকপ্রদ। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
নাহিদ ইসলাম সামনের সারিতে থেকে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। তার এই আন্দোলনের মাধ্যমেই বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এক স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।
টাইম ম্যাগাজিন প্রতিবছর বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করে আসছে ১৯৯৯ সাল থেকে। এ বছর নাহিদের সম্পর্কে তারা বলেছে, আন্দোলনের অনেক নেতার মধ্যে তিনি অন্যতম, এবং গোয়েন্দা সংস্থার নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর তার পরিচিতি আরও বাড়ে।
৩ আগস্ট নাহিদ ইসলাম জাতীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হয়ে লাখো জনতার সামনে এক দফা দাবি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের জন্য একমাত্র দাবি হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এই সরকারের পতন এবং ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান।”
৫ আগস্ট দেশব্যাপী তীব্র গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। টাইমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাহিদ বলেন, “কেউ ভাবতেও পারেনি হাসিনাকে উৎখাত করা সম্ভব হবে, কিন্তু তা সম্ভব হয়েছে মুক্তিকামী জনতার প্রচেষ্টায়।”
তবে নাহিদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলো এখন সামনে। তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যেখানে তার সহকর্মী হিসেবে রয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। টাইম উল্লেখ করেছে, ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পর বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ এখন নতুন সরকারের সামনে।
নাহিদ বলেন, “আমাদের নতুন প্রজন্মের চাওয়া-পাওয়া বুঝতে হবে, এবং রাজনৈতিক সহিংসতার যে চক্র, তা বন্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে।”
Leave a Reply