উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে নীলফামারীতে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সব কটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে দিয়েছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানির স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমলা উপজেলার তীরবর্তী সাতটি ইউনিয়নের ১৫টি চরগ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শনিবার সকাল ৯টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি বেড়ে রাত ১২টায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে এবং সকাল ৬টায় তা ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। তবে সকাল ৯টায় পানি ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে। তিস্তা ব্যারাজের বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ৫২.১৫ মিটার।
পানির স্তর বৃদ্ধির ফলে ডিমলার পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, খগাখড়িবাড়ি ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে প্রায় ৫ হাজার মানুষ বন্যার শঙ্কায় রয়েছেন। এসব এলাকার ১২ হেক্টর জমির আমন ধানও পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তবে পানি কিছুটা কমায় শঙ্কা কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান জানান, গত চার দিন ধরে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে এবং তারা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।
ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যানদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে এবং ত্রাণ পাওয়া গেলে তা বিতরণ করা হবে।
Leave a Reply