রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার অবরোধ চলছে, পাশাপাশি পরিবহন ধর্মঘটও অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে সাজেকে ভ্রমণে গিয়ে আটকে পড়েছেন আট শতাধিক পর্যটক।
শনিবার সকালে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এই ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
একই দিনে, রাঙামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বাস, সিএনজি অটোরিকশা, ট্রাক ভাঙচুর ও শ্রমিকদের আহত হওয়ার প্রতিবাদে মালিক-শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে।
খাগড়াছড়ি জিপ গাড়ির লাইনম্যান মো. ইয়াছিন আরাফাত জানান, শুক্রবার সকালে ও দুপুরে ১১৫টি জিপ এবং ৫০টিরও বেশি সিএনজিচালিত মাহেন্দ্র সাজেকে প্রবেশ করে। প্রতিটি জিপে ১২-১৪ জন এবং মাহেন্দ্রতে ৪-৫ জন যাত্রী থাকে।
তিনি আরও জানান, ইউপিডিএফের অবরোধের ডাক দেওয়ার পর সড়কের বিভিন্ন স্থানে আগুন দেওয়া হয়। শুনেছি, বেইলি সেতুগুলো থেকে পাটাতন খুলে নেওয়া হয়েছে, ফলে পর্যটকদের বহনকারী গাড়িগুলো চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই সাজেক থেকে আজ কোনো গাড়ি ফেরেনি।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মন বলেন, “অবরোধের কারণে সাজেকে আট শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে, আমরা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করছি। পরিস্থিতি ভালো হলে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।”
রাঙামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, “অবরোধের কারণে ঝুঁকি থাকায় আজ কোনো গাড়ি ছাড়া হয়নি। পর্যটকরা সাজেকে আটকা পড়েছেন এবং পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ি জেলা সদরে মোটরসাইকেল চুরির একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার পিটুনিতে মো. মামুন নামে এক যুবক নিহত হন, যা সহিংসতার সূত্রপাত ঘটায় এবং পরিস্থিতি রাঙামাটিতেও ছড়িয়ে পড়ে।