কোনও সমস্যা না থাকলেও, কান পরিষ্কার করার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। কান খোঁচাতে বাজার থেকে কিনে আনা হয় কটন বাডও। আবার কোনো কারণ ছাড়াই শুধু স্বভাবের দোষে প্রায়ই কানে কটন বাড ব্যবহার করেন কেউ কেউ। কানের ভেতর কটন বাডের নড়াচড়ায় আরাম হয় ঠিকই, কিন্তু এটা কানের জন্য বেশ ক্ষতিকারক।
> ওই ওয়্যাক্স কিন্তু কানের খুব ভিতরে প্রবেশ করে না। কিন্তু কটন বাড কানে দিলে আরও ভিতরে চলে যায় ওয়্যাক্স।
> পুরনো চামড়া খসে পড়ে এমনিতেই ওই ওয়্যাক্স কানের বাইরে বেরিয়ে আসে। কটন বাড দিয়ে ঠেলে দিলে সেই কাজ ব্যাহত হয়।
> কটন বাড কানের পর্দায় ধাক্কা দিলে, সেই যন্ত্রণা সহ্য করা যায় না। পাশাপাশি কান থেকে তরলও বের হতে পারে। কানের পর্দা ফেটে গেলে, তা ভালো হতেও সময় লাগে। তার মধ্যবর্তী সময়ে হারাতে পারেন শ্রবণশক্তি।
> কটন বাড ব্যবহার করলে কানে যন্ত্রণা, কান ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি শ্রবণশক্তিও কমে যেতে পারে।
> অনেক সময় বাডের তুলো কানের ভেতরে থেকে যায়। সেই তুলো থেকে কানে ইনফেকশন হয়ে শুনতে সমস্যা হতে পারে।
> কটন বাড ব্যবহার করলে কানে ব্যাকটেরিয়া ঢুকতে পারে। ধীরে ধীরে ব্যাকটেরিয়া থেকে ইনফেকশন দেখা দেয়। তাই কটন বাডের ব্যবহার সাময়িক আরাম দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্ভাবনাই প্রবল।
> কান খোঁচানর পর যদি কানে যন্ত্রণা হয়, শুনতে সমস্যা হয়, অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যান। সমস্যার কথা খুলে বলুন। তিনি উপায় জানিয়ে দেবেন। নিজে নিজে ডাক্তারি করতে যাবেন না।
> কানে অতিরিক্ত ওয়্যাক্স জমলে, সর্বদা তার জেরে অস্বস্তি হলে কান পরিষ্কার করতে পারেন। তবে কটন বাড ব্যবহার করবেন না একেবারেই। ভিজা কাপড়ে সাবান মাখিয়ে, আঙুলে জড়িয়ে কান পরিষ্কার করতে পারেন।
> তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সময়ের সঙ্গে আপনা আপনিই বেরিয়ে আসে ওয়্যাক্স। শ্যাম্পু করার সময়, মাথা ভিজিয়ে গাঁ ধোয়ার সময়ও কানের ময়লা বেরিয়ে যায়। তাই আলাদা করে কান খোঁচানোর প্রয়োজন পড়ে না। তবে খুব অস্বস্তি হলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
Leave a Reply