অদ্য ১৩ আগস্ট ২০২৪, মঙ্গলবার বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে পর্যটন উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেনা কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঝিলংজা আর্মি ক্যাম্পে আয়োজিত এই সভায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের তত্ত্বাবধানে সিভিল প্রশাসন ও পর্যটন খাতের সাথে সম্পৃক্ত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে সমন্বয় করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল শেখ মোঃ সরওয়ার হোসেন, এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি।
এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নুরুন্নবী, পিএসসি, কমান্ডার ২ পদাতিক ব্রিগেড, জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, পুলিশ সুপার (এসপি) সহ সিভিল প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং পর্যটন খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। সভায় দেশের অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পের অপরিসীম গুরুত্ব নিয়ে বিশদ আলোচনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হয়।
কক্সবাজারের পর্যটন খাতকে আরও উন্নত করতে এবং পর্যটকদের কাছে এই স্থানকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে তা নিয়েও ব্যাপক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা উল্লেখ করেন যে, কক্সবাজারের পর্যটন খাত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এবং ভবিষ্যতে এই খাত থেকে আরও বেশি অবদান রাখা সম্ভব। সভায় আলোচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিলো কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা এবং স্থানীয় ছাত্রসমাজ ও সাধারণ জনগণের সহায়তার মাধ্যমে কক্সবাজারকে আরও নিরাপদ ও ভ্রমণ উপযোগী করে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়। আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় যে, কক্সবাজারকে একটি আদর্শ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। মেজর জেনারেল সরওয়ার হোসেন সভার শেষ পর্যায়ে সকলকে আশ্বাস প্রদান করেন যে, ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের অনিশ্চয়তা বা নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সেনা কর্মকর্তাদের এই সমন্বয় সভাটি কক্সবাজারের পর্যটন খাতের উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী, সিভিল প্রশাসন, এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকলের যৌথ উদ্যোগে কক্সবাজারকে বিশ্বের অন্যতম সেরা পর্যটন গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় এই সভায় পুনর্ব্যক্ত করা হয়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কক্সবাজারের উন্নয়নে এই ধরনের সমন্বয় সভা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।