শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ কালকিনিতে প্রধান শিক্ষকের অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল সবজির দামে স্বস্তি, চড়া ডিম মুরগির বাজার বিডিআর বিদ্রোহের দিন কী ঘটেছিল, জানালেন সাবেক সেনাপ্রধান মইন জাতিসংঘ অধিবেশনে ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হচ্ছেন যারা ৫ আগস্টের পর আরেকটি দল লুটের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: ফয়জুল করীম লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বদলি আদেশ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কোটালীপাড়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তিতে রংপুরে শহীদি মার্চ পালন ডিএমপির ১১ উপপুলিশ কমিশনারকে বদলি

পেকুয়ায় ইয়াবার ট্রানজিট রাজাখালীর আমিন বাজার পয়েন্ট

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০
  • ১৯০ Time View
 পেকুয়া প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের পেকুয়ায় ইয়াবা পাচারের ট্রানজিট হচ্ছে রাজাখালী ইউনিয়নের সুন্দরীপাড়া আমিন বাজার মোকাম। বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী উপকুলীয় ওই মোকাম এখন মাদক পাচার ও ইয়াবা পাচারের অন্যতম ট্রানজিট হিসেবে পরিণত হয়েছে। একটি শক্তিশালী মাদকচক্র উপকূলকেন্দ্রীক বীরদর্পে পাচার করছে ইয়াবা। ফিশিং ও লবণ ব্যবসার আড়ালে ওই চক্র সাগর দিয়ে দিব্যি পরিবহণ করছে ইয়াবা। কার্গো বোট ও ফিশিং বোট সাগরে যাতায়াত করে। রাজাখালী মোকাম থেকে মাছ, লবণ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিবহণ করা হচ্ছে। একাধিক সুত্রে জানা যায়, সমুদ্র থেকে আহরিত মৎস্য ব্যবসার আড়ালে ওই চক্র পাচার করছে ইয়াবা। প্রশাসন ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ফাঁকি দিয়ে এ চক্রটি গত কয়েক বছর ধরে ইয়াবা ব্যবসায় যুক্ত। পাশ্ববর্তী দেশ মায়ানমারের সঙ্গেও ইয়াবা পাচারচক্রের যোগাযোগ রয়েছে। এক সময় মায়ানমার থেকে কাঁচা লবণ এনে রাজাখালীতে পরিশোধন করা হতো। এদের নিজস্ব লবণ মিলে ওই লবণ প্যাকেটজাত করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাজারজাত করা হয়। লবণসহ বিভিন্ন পণ্য কালোবাজার জাত করা হতো সুন্দরীপাড়ার মোকাম থেকে। এক সময় বাংলাদেশ থেকে সাগর পথে সার পাচার ছিল। কার্গো বোট ও ফিশিংবোটযোগে ওই সার সাগরপথে মায়ানমারে পৌছত। আবার একই বোট দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসত মায়ানমার থেকে লবণ। প্রসিদ্ধ কালোবাজারী ব্যবসায়ীর ছেলে সন্তানরা মায়ানমারের সাথে অবৈধ বাণিজ্য থেমে রাখেননি। গত কয়েক বছর আগে থেকে বাংলাদেশে ইয়াবার তৎপরতা চলমান রয়েছে। জনশ্রুতি রয়েছে মায়ানমার থেকে আসা ইয়াবা বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে সবচেয়ে বেশী। পাচারকারীরা বিভিন্ন কৌশলে মাদক পরিবহন ও পাচারে ব্যস্ত। এরই মধ্যে সাগরপথে ডুকছে বেশী ইয়াবা। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকারের একাধিক সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে এরা ইয়াবা পাচারে ব্যস্ত। রাজাখালী ইউনিয়নের সুন্দরীপাড়া মোকাম আগে থেকে মাদক পাচার ও সাগরপথে মানব পাচারের জন্য প্রসিদ্ধ রয়েছে। কয়েক বছর আগে প্রচুর মানুষ সাগরপথে মালয়েশিয়া পাড়ি দেয়। মানবপাচারে যুক্ত রয়েছে এমন কয়েকজন ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে রাজাখালীতে। প্রশাসন অভিযান চালিয়ে মালয়েশিয়াগামী অনেক লোকজনকে উদ্ধারও করে। মানবপাচার মামলাও হয়েছিল পেকুয়ায়। জড়িত থাকায় পুলিশ কয়েকজনকে আটকও করে। তবে স্বীকারোক্তিমতে মানবপাচারে জড়িত কয়েকজন রাঘববোয়ালের নামও উঠে এসেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজাখালীর বেশ কিছু স্থানীয়রা জানান, মাদক ও মানবপাচার সুন্দরীপাড়া থেকে হয়েছে। অবৈধ এ সব ব্যবসা এ মোকাম থেকে এখনো চলমান রয়েছে। ইয়াবা বিক্রি করে মূল হোতারা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। ফিশিং বোট ও কার্গো বোট হচ্ছে ইয়াবা পরিবহনের প্রধান খাত। টেকনাফ ও মায়ানমারের উপকুল থেকে মূলত ইয়াবা রাজাখালীতে নিয়ে আসা হয়। সেখানকার মাদক কারবারী ও এখানকার মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। রাজাখালীতে নিয়ে আসা মাদক সাগরপথে দেশের উত্তর অঞ্চল, মধ্য অঞ্চল ও পশ্চিম অঞ্চলে পাচার হচ্ছে। একাধিক সুত্র জানায়, ইয়াবা পাচার ও বিক্রির সাথে দুই যুবকের সরাসরি সম্পৃক্ততা মিলেছে। সুন্দরীপাড়ার বেশ কিছু লোকজন জানিয়েছেন স্থানীয় শাহাদাত আলীর ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম রুবেল ইয়াবা পাচারে লিপ্ত রয়েছে। তার গোষ্টীর সদস্যরা এক সময় মায়ানমারের সাথে অবৈধ বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন। এরা লবণ ও মৎস্য ব্যবসায় জড়িত। সাগরে নিজস্ব ফিশিং ও কার্গো বোটও রয়েছে। এ সব মাধ্যম হচ্ছে ইয়াবা পাচারের নিরাপদ বাহন। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম ও রাজধানী ঢাকার মাদক কারবারীরা ওই যুবকের মাধ্যমে পেয়ে থাকেন ইয়াবা। এক সময় মানব পাচারেও তার যুক্ত থাকার তথ্যের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে সময় স্বীকারোক্তিমতে আনোয়রুল ইসলাম রুবেল সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। প্রশাসন ২০১৫ সালে মানবপাচার মামলায় ধৃত আসামীরা তার নাম বলেছেন। একই ইউনিয়নের মিয়াপাড়ার মৃত মকবুল আহমদের ছেলে সোলেমান বাদশাহও মাদক পাচারে জড়িত। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলাও রয়েছে। চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরের মেয়ের জামাই হওয়ায় সোলেমান বাদশাহ বীরদর্পে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যান। আনোয়ারুল ইসলাম জড়িত থাকলেও প্রশাসন নিয়ন্ত্রন করেন তিনি। স্বীকারোক্তিমতে তার নাম উল্লেখ থাকলেও মামলায় তিনি বাদ পড়ে যান। প্রচুর অর্থ দিয়ে মূলত প্রশাসনিক জোট ঝামেলা থেকে বেঁচে যান। পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) সাইফুর রহমান মজুমদার জানান, মাদকের বিষয়ে পুলিশ অত্যন্ত সতর্ক ও সজাগ। আমরা ইয়াবার বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারী বাড়িয়েছি। ইয়াবা ব্যবসায় যে বা যারা জড়িত থাকুক কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category