বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ১১:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে সনাতনী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত। টেকেরহাট শহীদ সরদার সাজাহান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ” জুলাই গণ অভ্যুত্থান”দিবস উদযাপিত। ভোগ বিলাসে উপদেষ্টারা ব্যস্ত : রংপুরে সাদিক শার্শায় হতদরিদ্রের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক-২ কদমবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের শপথবাক্য পাঠ ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাদারীপুরে বাবুর্চি সহ ২টি মরদেহ উদ্ধার মুকসুদপুরের বাটিকামারী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন সেলিমুজ্জামান সেলিম গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিবার- পরিকল্পনা বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত “সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর আগে ভাবুন—এই ৫টি দিক” ১০০ টাকার প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার

ঢাবির বিভিন্ন হলে শিক্ষার্থীদের মারধর ও হল ছাড়া করার অভিযোগ

আলেকিত জনপদ ডেস্ক
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪
  • ৩৭৭ Time View
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সোমবার (১৫ জুলাই) দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩০০ শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৩ জন বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।

এদিকে রাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা একে একে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের হয়রানি এবং মারধর করে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করছেন।

জানা গেছে, সোমবার রাত ১০ টার পর থেকে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, মাস্টার দা সূর্যসেন হল, স্যার এ এফ রহমান হল, বিজয় একাত্তর হলসহ বেশ কয়েকটি হলে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন চেক করে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। হলে কেউ ঢুকতে চাইলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফটকে অবস্থান নিয়ে তাদের চার্জ করছেন। কোটা আন্দোলনে যুক্ত আছে কি না, তাদের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট যাচাই করছেন। কয়েকটি হলে মাইকিং করে কোটা আন্দোলনে অংশ না নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আতঙ্কে অনেকে হল ছেড়ে যাচ্ছেন।

এ এফ রহমান হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হলের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল বাসিত, শাখাওয়াত হোসেন সাকু, লিমন খান রানা, মোর্শেদ ইসলাম এবং ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ফারুক হোসেন ও তাওহীদ ইসলামকে বেধড়ক মারধর করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আর ৩ জনকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

তারা জানান, শাখাওয়াত ও বাসিতকে খুব বেশি মারা হয়েছে। শাখাওয়াতকে রুমে গিয়ে মারা হয়েছে। আর বাসিত হাসপাতালে যাচ্ছিলেন, তখন ফোন চেক করে মারধর করা হয়। লিমন, শাখাওয়াত ও মোর্শেদকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রফিক শাহরিয়ার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিচ্ছি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজয় একাত্তর হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি টিএসসি থেকে হলে আসছিলাম। ছাত্রলীগ আমাকে হল গেটে আটকায় এবং কোটা আন্দোলনের গ্রুপে থাকায় আমাকে পেছন থেকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মারধর করে। পরে আমার পরিচিত এক ভাই আমাকে সেখান থেকে নিয়ে আসে। আমার চোখে তারা প্রচণ্ড আঘাত করেছে। শুধু আমাকেই নয়, অনেক শিক্ষার্থীকে তারা চার্জ করে মারধর করেছে।’

এ বিষয়ে বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেন, ‘আসলে ছাত্রদের এ বয়সে রক্ত গরম থাকে, তাই হয়ত তারা একাজ করেছে। আমি তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীরা কেউ অভিযোগ দিলে আমরা পদক্ষেপ নেব।’

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category
Adsense