গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে রাতের আধারে আবু হায়াত মৃধা নামের এক কৃষকের ৫টি জমির সাড়ে ৮শ’ গাছ কেটে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা। এতে ওই কৃষকের প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আবু হায়াত মৃধা মুকসুদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের। তবে পুলিশ বলছে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে তদন্ত চলছে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামে।
ক্ষতিগ্রস্থ আবু হায়াত মৃধা অভিযোগ করে বলেন, আয় রোজগার বাড়াতে তিন বছর আগে নিজের ৫টি জমিতে প্রায় চার লাখ টাকা খরচ করে কলা, আম, লিচু, মেহগুনীসহ বিভিন্ন প্রকারে প্রায় আড়াই হাজারটি গাছ রোপন করি। গাছগুলো বড় হয়ে উঠেছিল। এরমধ্যে ২’শটি কলা গাছে কলা ধরে ছিল। কিন্তু শুক্রবার দিবাগত রাতে কে বা কারা আমার ৫টি বাগানের ৫শ’ কলা গাছ, ৩০টি আম গাছ, ৬০টি লিছু গাছ, ৫০টি মেহগুনী গাছ ও ২’শ টি চাম্বল গাছসহ মোট সাড়ে ৮শ’ গাছ কেটে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে সকালে আমি আমার জমিতে এসে গাছ কাটা আবস্থায় পড়ে থাকেতে দেখি। এতে আমার অন্তত ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমার স্বপ্ন এখন ফিকে করে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এখন আমি দিশেহারা হয়ে পরেছি। কিভাবে এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠবো।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় মুকসুদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগ দায়েরর পর মুকসুদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই শামীম আমার জমি পরিদর্শন করেছে।
এলাকাবাসী মুরাদ হোসেন মৃধা ও রিপন মৃধা বলেন, এমন ঘটনা এর আগে না ঘটলেও নারায়নপুর গ্রামের এবারই প্রথম এ ঘটনা ঘটলো। শত্রুতা করেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে দূর্বৃত্তরা। দ্রুত বৃক্ষ নিধনকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবী তাদের।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মুকসুদপুর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই শামীম বলেন, অভিযোড় দায়েরের পর আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেই সঙ্গে ঘটনার তদন্ত করেছি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। সেখানে কলা, মেহেগুনী, চাম্বল, লিছু ও আমগাছ কাটা পাওয়া গেছে।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মুকসুদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। দ্রুত তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত