২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭.৩০ নাগাদ রবি সরকার (৪৭) বিএনপির একটি জরুরী সভা থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে টেকেরহাট বাস স্টান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে একটু সামনে, হটাৎ ছাত্রলীগ নেতা হামিদ শেখ (২৭) ও তার সহপাঠীরা পিছন থেকে এসে তার উপর হামলা চালায়।
মুহুর্তের মধেই আরো একটি বাইক নিয়ে হামলার সাথে মিলিত হয় রবি সরকারের পার্শ্ববর্তী এলাকার ছাত্রলীগ নেতা সুমন মন্ডল (২৮)। তাদের হাতে ছিলো বাঁশের লাঠি ও ধারালো ছুড়ি। ঘটনাস্থলে হামিদ শেখের সহপাঠীরা রবি সরকারকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পেটায় ও সুমন মন্ডল ছুড়িকাঘাত করে।
সুমন মন্ডল রবি সরকারের কপালে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করলে খানিকটা কেঁটে যায়। মারামারির এক পর্যায়ে একটি যাত্রীবাহী অটোরিক্সা এসে পড়লে সুমন মন্ডল ও তার সঙ্গীরা দ্রুত ঘটনা স্থান থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
আক্রমণ কারীদের মধ্যে সুমন মন্ডল ও হামিদ শেখ পরিচিতি মুখ হওয়ায় (ছাত্রলীগ নেতা) রবি সরকার তাদের খুব সহজেই সনাক্ত করতে পারলেও বাকি দুজন হেলমেট পড়ে থাকার কারনে রবি সরকার তাদের পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি।
পরে রবি সরকারকে আহত অবস্থায় ঐ এলাকার স্হানীয়র রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। ঐ একই দিনে রবি সরকার চাচাতো ভাই অমল সরকার (৪০) সেনদিয়াঘাট পুলিশ ফাড়িতে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে ফাড়ির পুলিশ মামলা নেয় না।মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি হওয়ার দুদিন পর কিছুটা সুস্থ হলে ডাক্তার তাকে হাসপাতাল থেকে মুক্ত করেদেন।
রবি সরকার আরো জানান যে আসান্ন ৭ জানুয়ারি ২০২৪ জাতীয় নির্বাচন কে কেন্দ্র করে এই ছাত্রলীগ নেতা্রা, বিরোধী দল বিএনপি নেতা কর্মিদের নজরে নজরে রাখছে এবং সুযোগ বুঝে আক্রমন করছে।
এমন কি ঘটনা স্থানে সুমন মন্ডল , রবি সরকার ও তার ছেলে সুজয় সরকার কে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। সুজয় সরকার এই মুহুর্তে লন্ডনে অবস্থান করছেন।এঘটনায় পুলিশ রবি সরকারের মামলা না নেওয়াতে মুকসুদপুর বিএনপি দলের নেতারা এই ঘটনার তিব্র নিন্দা জানিয়েছে।
Leave a Reply