রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১১:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
খালি পেটে কখনো কোন কাজ করা ঠিক নয় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ: এনবিআর অচল, রপ্তানি কার্যক্রম ঝুঁকির মুখে একদিনে আরও ২৬২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১ জন ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালির ঝলমলে ক্যারিয়ারের আড়ালে লুকানো বিষাদের অধ্যায় মেজর লিগ ক্রিকেটে এবার নাটকীয়তার চূড়ান্ত, শেষ বলেই ছক্কা মেরে রুদ্ধশ্বাস জয়! রানওয়েতে কালো ভাল্লুক, বাতিল এক ডজন ফ্লাইট এনবিআরের শাটডাউন: সারা দেশে আমদানি-রপ্তানি ও শুল্ক-কর সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত একসঙ্গে কতটি কোয়েলের ডিম খাওয়া নিরাপদ? হিরো আলম ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে, ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ঘোষিত সময়ের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন সম্ভব নয়: সালাহউদ্দিন

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন গোপালগঞ্জ-০১ আসনের মুকসুদপুরে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ আহত ২০

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ
  • Update Time : শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ২৬২ Time View

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ-০১ আসনের মুকসুদপুরে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। এসময় ৩টি দোকান ও ৮টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোচনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদ মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানীর একাংশ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) মো: কাবির মিয়ার সমর্থক লাকিয়া বেগম নামের এক নারী মুকসুদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আজ শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের শুয়াশুর গ্রামে এ সংর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মুকসুদপুর ও ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তিসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আশরাফুল আলম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান টুটুল সংঘর্ষের বিষয় নিশ্চিত করেছেন। মারাত্মক আহতরা হলেন, রুবেল শেখ (৩৫), ফিরোজ শেখ (৬৫), বিপ্লব শেখ (৩০), শামিম শেখ (৩৫), রসুল শেখ (৩০),তানিয়া আক্তার (২২), কাদু শেখসহ (৫০) ২০ জনকে মুকসুদপুর ও ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তিসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার মোচনা ইউনিয়েনর শুয়াশুর গ্রামে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খানের সমর্থক ও মোচনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমদাদ মোল্যা ও তার দুই ভাই মনির মোল্যা এবং এনামুল মোল্যা নেতৃত্বে ওই এলাকার স্বতন্ত প্রার্থী মো:ল কাবির মিয়ার সমর্থকদের হামলা করেছে এমন সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

এসময় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ অন্ততঃ ২০জন আহত হয়। এসময় ৩টি দোকান ও রাজ্জাক শেখ, মারুফ শেখ, নওসার শেখ, রবিউল শেখের বাড়িসহ প্রায় ৮ বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মুকসুদপুর ১০০-শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। হামলায় আহত কাদের শেখ (৪৫) নামের এক কর্মীকে প্রথমে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি ঈগল প্রতীকের সমর্থক ।

এ ঘটনায় মোচনা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো: ইমদাদ মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে মুকসুদপুর থানা পুলিশ। মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান টুটুল বলেন, আমি ঘটনা স্থলে ছিলাম না। মুঠোফোনের মধ্যমে জানতে পেরেছি। আজ মোচনা ইউনিয়নের শুয়াশুর গ্রামে নৌকা সমর্থক ও ঈগলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে।

মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আশরাফুল আলম জানান, নৌকা ও ঈগলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোচনা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো: ইমদাদ মোল্লাকে থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ, বুধবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সভা চলাকালীন স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিনজন সমর্থককে মারপিট করে নৌকার সমর্থকরা। ওই সময় নুর আলম নামের একজনকে হতুড়ি পেটা করারও অভিযোগ নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই আসনের একাধিক ভোটারের সাথে কথা বলে জানাযায়, দীর্ঘদিন মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি থাকার কারণে কিছু সুবিধাবাদি লোক তাকে ঘিরে রেখেছে। ত্যাগী আওয়ামীলীগ কর্মীদের মূল্যায়ন না করে তিনি নব্য আওয়ামীদের প্রাধান্য দিচ্ছেন।

এছাড়া স্থানীয় নির্বাচনে জনবিচ্ছিন্নদের মনোনয়ন দেয়ার কারণে এলাকায় তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বিগত পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।

এছাড়া উপজেলা নির্বাচনে মুহাম্মদ ফারুক খান মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করে মো: কাবির মিয়া প্রায় ২৯ হাজার ভোট বেশি পেয়ে জয় লাভ করে। এবং গত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের ৭ প্রার্থী পরাজিত হয়। সে কারণে এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়ার সাথে মুহাম্মদ ফারুক খানের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Adsense