গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নানীর বিরুদ্ধে আফিফা খানম (৭) নামে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু আফিফা খানম উপজেলার কুরপালা গ্রামের আসলাম শিকদারের মেয়ে ও ২৭নং বান্ধাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। আফিফা খানম বান্ধাবাড়ি গ্রামে তার নানী লাকি বেগমের কাছে থেকে লেখাপড়া করতো।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত শিশুর পিতা আসলাম শিকদার জানান, ১০ বছর আগে আমি বান্ধাবাড়ি গ্রামের মৃত্যু আক্তার খানের মেয়ে খাদিজা বেগমকে বিয়ে করি।
বিয়ের পর সে প্রায়ই বাবার বাড়ি থাকতো। এরই মাঝে আমার একটি কন্যা সন্তান হয়। আমার কন্যা সন্তানটির বয়স যখন ৫ বছর তখন আমার স্ত্রী খাদিজা বেগম বিভিন্ন জনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। গত ২ বছর আগে আমার স্ত্রী খাদিজা বেগম আমাকে ডিভোর্স দিয়ে বিয়ে করে অন্যত্র চলে যায়।
এরপর আমার কন্যা আফিফা খানম তার নানী লাকি বেগমের কাছে থেকে লেখাপড়া করতো। আমি প্রতিনিয়ত আমার কন্যার খোঁজখবর নিতাম ও লেখাপড়ার খরচ দিতাম। আমার ধারনা, আমার মেয়ে আফিফাকে তার নানী হত্যা করেছে।
আসলাম শিকদারের বড় ভাই শিক্ষক লিটন শিকদার বলেন, আমরা প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারি যে, আফিফা মারা গেছে। এখানে আসার পর লাকি বেগম আমাদের বলেন যে, গত রাতে আফিফাকে ভূতে মেরে ফেলেছে। আমাদের ধারনা, আমার ভাতিজি আফিফাকে তার নানী গলা টিপে হত্যা করেছে।
আফিফার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অভিযুক্ত নানী লাকি বেগম বলেন, গত রাতে বাথরুমে গিয়ে আফিফা চিৎকার দেয়। আমি দরজা খুলে আফিফাকে ঘরে নিয়ে আসি। ঘরে এনে আফিফায় গলায় দাগ দেখতে পাই। এরপর আফিফাকে নিয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়ি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে আফিফাকে মরা দেখতে পাই। আমার ধারণা আফিফাকে ভূতে মেরে ফেলেছে। কোটালীপাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, আফিফা খানমের মরহেদ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
Leave a Reply