আশুলিয়ার চাঁদাবাজদের মূল হোতা জুয়ারু শাহ আলম গং কে গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় টাকা পয়সা একাধিক মোবাইল সেট সহ জুয়া খেলা সরঞ্জাম।
শুক্রবার রাত দুই ঘটিকার সময় আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক চৌকস অফিসার আবুল হাসানসহ তার টিম গোপন সংবাদের ভিক্তিতে অভিযান চালিয়ে বগাবাড়ি থেকে তাদের আটক করেন।
জানা যায় শাহ আলম গং আশুলিয়া এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত নিষিদ্ধ শপিং পলির ব্যবসা, কেরাম বোর্ড জুয়া, কলায় ফরমালিন দিয়ে কলা পাকানোর ব্যবসা, ভাঙ্গারী দোকান, জুয়ার আসর ও নারী দিয়ে পতিতা ব্যবসাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করার কথা বলে টাকা ইনকামের জন্য গড়ে তুলেছে অপরাধের স্বর্গরাজ্য।
শাহ আলম আশুলিয়া থানার পাশে বাড়ি হওয়ায় সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে থানার নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ভাঙ্গারি দোকান কলার দোকান, নিষিদ্ধ শপিং পলির দোকান, কেরাম বোর্ড এর দোকান, সহ জুয়া খেলা ও পতিতাদের কাজ থেকে মাসিক বা দৈনিক হারে বাণিজ্য করে হাতির নিচে লাখ লাখ টাকা এমনটাই বলছেন স্থানীয় একাধিক দোকানদার।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার বাইপাইল, বলিভদ্র, জামগড়া, কাটগড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে জানা যায় শাহ আলম দীর্ঘদিন যাবত আশুলিয়া থানার নামে চাঁদা বাজি করছেন,এবং প্রকাশ্য লটারি নামক জুয়ার আসর বসিয়ে করছেন ব্যবসা।
এর ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করেন আটককৃতরা হলেন ১। নুর মোহাম্মদ আরজু (৩২), পিতা-মোঃ মোবারক আলী, মাতা-সাজেদা বেগম, সাং-উত্তর হোগলা, থানা-কাউখালী, জেলা- পিরোজপুর, বর্তমান সাং-বাইপাইল নতুনপাড়া নিলুফা ভিলার ভাড়াটিয়া, থানা-আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা,
২। মোঃ শাহ আলম (২৬), পিতা-মোঃ শহীদ, মাতা-রাশেদা বেগম, সাং-লালপুর, থানা ও জেলা-চাঁদপুর, বর্তমান সাং-ভাদাইল তাজুর বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা-আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা,
৩। মোঃ ফরহাদ (৩৮), পিতা-মোঃ আঃ রশিদ ভূঁইয়া, মাতা-খবিরুন, সাং-খাঁ কান্দা নাজিরপুর, থানা-ভাংগা, জেলা-ফরিদপুর, বর্তমান সাং-বাইপাইল নাতুনপাড়া, থানা-আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা,
৪। মোঃ রফিকুল ইসলাম (৪০), পিতা-মৃত শাহজাহান, মাতা-জহুরা খাতুন, সাং-হাতকুড়া, থানা-ধামরাই, জেলা-ঢাকা, বর্তমান সাং-বাইপাইল নতুনপাড়া, থানা-আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা,
৫। মোঃ কাইয়ুম (৪৭), পিতা-আজগড় আলী দেওয়ান, মাতা-রিজিয়া খাতুন, সাং-জিরাবো দেওয়ানপাড়া, থানা-আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা
Leave a Reply