মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভারতের একটি রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, প্রাণ গেল ১২ জনের রাতে ভাত খাওয়া কি সত্যিই ক্ষতিকর? পুষ্টিবিদদের বক্তব্য কী? জুলাই স্মরণে ২০২৪ শিক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের শুভ সূচনা চীন সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে : মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের ইতিবাচক লেখনির মাধ্যমেই ঘুরে দাঁড়াবে পুঁজিবাজার : ডিবিএ সভাপতি এবার হাসপাতালে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালাল শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা খালি পেটে কখনো কোন কাজ করা ঠিক নয় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ: এনবিআর অচল, রপ্তানি কার্যক্রম ঝুঁকির মুখে একদিনে আরও ২৬২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১ জন

মাদারীপুরে হত্যা মামলায় সব আসামীর খালাস হওয়ায় ক্ষুব্ধ বাদীপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩
  • ২৫৬ Time View
মাদারীপুরে ২০০৪ জাকির হোসেন হত্যা মামলায় চার্জশীটভুক্ত সব আসামীকেই খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল হোসেন এই রায় দেন। এতে আসামীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও ক্ষোভ জানিয়েছেন বাদীপক্ষ।
খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, শিবচর উপজেলার দ্বিতীয়খন্ড ইউনিয়নের মাদবরকান্দি গ্রামের মৃত রশিদ মোড়লের ছেলে গোলাম মাওলা (৪২), চরকাচিকাটা গ্রামের আদেল উদ্দিন শেখের ছেলে রব শেখ (৪৫), একই গ্রামের সেকান ফকিরের ছেলে লিটন ফকির (৬২), মাদবরকান্দি গ্রামের আব্দুল হামেদ দড়ির ছেলে দলিল উদ্দিন দড়ি (৭০) ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিম দড়ির ছেলে মো. বাদশা দড়ি (৬৫)।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ মে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দ্বিতীয়খন্ড ইউনিয়নের মাদবরকান্দি গ্রামের এসকেনদার আলীর ছেলে জাকির হোসেন বাড়ি থেকে শিবচর বাজার এলাকায় অবস্থিত শ^শুরবাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়। পরে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। এরপর দুইদিন পর ২৩ মে শিবচর উপজেলার বিলপদ্মা নদীর কেরানিবাট এলাকায় বস্তাবন্দি মস্তকবিহীন এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের লোকজন জাকিরের লাশ শনাক্ত করলে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ। ওইদিনই অজ্ঞাতদের আসামী করে জাকিরের বাবা এসকেনদার আলী বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তৎকালীন শিবচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী তদন্ত শেষে গোলাম মাওলা, রব শেখ, লিটন ফকির, দলিল উদ্দিন দড়ি ও মো. বাদশা দড়িকে অভিযুক্ত করে ২০০৪ সালের ৩০ জুন আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
অভিযুক্তপত্রে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা আসামীরা জুয়া খেলার ৮০ হাজার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে জাকিরকে কুপিয়ে হত্যা করেন। লাশ শনাক্ত করতে যেন না পারে এজন্য আসামীরা জাকিরের মস্তকবিহীন করে বস্তায় ইটবোঝাই করে লাশটি বিলপদ্মা নদীতে ফেলে দেয়। বিভিন্ন সময় আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসারসহ ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। যুক্তিতর্ক ও দীর্ঘ আইনী প্রক্রিয়া শেষে দোষ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত অভিযুক্ত ৫ জনকেই খালাস দেন। মামলা চলাকালীন সময় আসামী দলিলউদ্দিন দড়ি মারা গেলেও রায় ঘোষণার সময় বাকি ৪ আসামী উপস্থিত ছিলেন। রায়ে আসামীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও ক্ষোভ জানিয়েছেন বাদীপক্ষ।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, এমন একটি হত্যা মামলায় সব আসামীর খালাস মেনে নেয়া যায়না। রায়ের কপি হাতে পেলে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
এ বিষয়ে আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়া বলেন, আসামীপক্ষ উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ আদালতে হাজির করতে পারেনি। সবকিছু বিবেচনা করে আদালতে সঠিক রায় দিয়েছে। এই রায়ে আমরা আসামীপক্ষ সন্তোষ। এখানে ন্যায়ের বিচার হয়েছে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Adsense