শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পথসভায় লোক ভাড়া করে এনে টাকা না দেয়ার অভিযোগে হট্টগোল ফরিদরপুরের নগরকান্দা উপজেলায় শেষ হলো নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা যারা পিআর নিয়ে কথা তুলছে তারা স্বৈরাচারের দোসর – হেলেন জেরিন খান রাজৈরে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে সনাতনী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত। টেকেরহাট শহীদ সরদার সাজাহান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ” জুলাই গণ অভ্যুত্থান”দিবস উদযাপিত। ভোগ বিলাসে উপদেষ্টারা ব্যস্ত : রংপুরে সাদিক শার্শায় হতদরিদ্রের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক-২ কদমবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের শপথবাক্য পাঠ ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাদারীপুরে বাবুর্চি সহ ২টি মরদেহ উদ্ধার

মাদারীপুরে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র ভয়ে আধা-পাকা ধান কেটে ফেলছেন কৃষকরা

মাদারীপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩
  • ৭৪২ Time View

মাদারীপুরে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র ভয়ে কৃষকরা আধা-পাকা ধান কেটে ফেলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

বিগত বছরগুলোতে ঝড়ে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ায় এ বছর আগেভাগেই ক্ষেত থেকে ধান কাটছেন। এরই মধ্যে নিন্মাঞ্চলের রোপা ইরি ধান কেটে ঘরে তুলছেন কৃষকরা।

মাদারীপুর জেলা কৃষি অফিস ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পরামর্শ দিয়েছেন। জেলার ৫৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে বলেও জানায় কৃষি অফিস।

মাদারীপুরের গৌদি এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে ধান কাটার মহোৎসব দেখা যায়। কারোই দম ফেলার ফুসরত নেই। এক সাথে দলবেধেঁ ধান কাটছেন কৃষক। চলতি বোরো মৌসুমে ফলনও ভালো হয়েছে, তবে ঘূর্ণিঝড় মোখার অশনি সংকেতে শঙ্কার ডানা মেলেছে কৃষককের মনে। তাই অজানা ভয়ে আগেভাগেই সোনার ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা। সার বীজ সংকট আর পানি সেচের অভাবেও দমে যায়নি চাষিরা। যে কারণে ফলন দেখে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও ঝড়ের কারণে চিন্তার ভাঁজ চাষিদের চোখে-মুখে।
এলাকার কৃষক মিলন ভূঁইয়া জানান, আমার প্রায় তিন বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। ধানও মোটামুটি ভালো হয়েছে। আর সপ্তাহখানেক মাঠে থাকলে ধানটা পুরো পুষ্ট হতো, কিন্তু শুনতেছি শীঘ্রই নাকি ঝড়-তুফান হবে। তাই আগেভাগেই ধান ঘরে উঠাইতেছি। এতো কষ্টের ফসল যাতে নষ্ট না হয়, সেদিকে নজর রেখেই ধান কাটছি।

মাদারীপুর জেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর জেলায় ৩৩ হাজার ৫৬৬ হেক্টর জমিতে রোপা বোরো আবাদ হয়েছে। যা গতবারের চেয়েও ৫৫০ হেক্টর বেশি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ২২০ মেক্ট্রিক টন ধান। যেখান থেকে চাল উৎপাদনের পরিমাণ হবে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৫ মেক্ট্রিক টন।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সন্তোষ চন্দ্র চন্দ জানান, মাদারীপুর জেলায় ইতোমধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ধান পেকেছে। মাঠে এখনো ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কাঁচা ধান রয়ে গেছে। ফলে কৃষকদের আগেভাগে ধান টাকার পর্রামশ দিচ্ছি। আশা রাখি আগামী ১৫ থেকে ১৬ মের মধ্যে পুরো ধান পেকে যাবে, তবে ভয়ের কারণে আগেই ধান কাটতে কৃষকদের অনুরোধ করা হচ্ছে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category
Adsense