আশুলিয়ায় গার্মেন্টস মালিক কে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে থানায় সাধারণ ডাইরি করেছে এক গার্মেন্টস মালিক। ডাইরি সুত্রে জানা যায় মুক্তার হোসেন নামে এক ব্যক্তি গত মাসে বন্ধ অবস্থায় মাহবুবা গার্মেন্টসটি ক্রয় করে এস এম ফ্যাশন নাম দিয়ে পারিচালনা করে আসছিল।
এরইমধ্যে ইমন সিকদার নামে এক ব্যক্তি শ্রমিক নেতার পরিচয়ে শ্রমিকদের বেতন চেয়ে বিভিন্ন ভাড়াটিয়া শ্রমিক নিয়ে কারখানার সামনে অবস্থান করে টাকা দাবি করে এবং অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ হুমকি প্রদান করে আসছে। এব্যপারে মাহবুবা ফ্যশনের মালিক খায়রুল ইসলাম যোগাযোগ করে জানা যায় তিনি সকল শ্রমিকের বেতন শ্রমিক নেতা ইমন সিকদার কে দিয়ে দিয়েছি।
টাকা দেওয়ার প্রমাণ কি আছে জানতে চাইলে তিনি বলে,আমি ও ইমন সিকদার সহ বাইপাইলে বেশ কিছু লোকের সামনে আমি ইমন সিকদারকে এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা শ্রমিকদের বেতন দেই আর ত্রিশ হাজার টাকা তাদের ব্যক্তিগত ভাবে দেই। এব্যপারে ইমন সিকদার টাকা নেওয়ার বিষয়ে অস্বীকার করে বলে মাহবুবা ফ্যশনের মালিক আমাকে কোন টাকা দেয়নি, টাকা দেওয়ার কোন প্রমাণ দিতে পারলে শ্রমিকদের সকল বেতন আমি দিয়ে দিবো।
কারখানার মালিক খাইরুল সাহেব দীর্ঘ প্রায় সাত মাস আগে শ্রমিকদের বেতন নাদিয়ে কারখানার বন্ধ করে পালিয়ে যায়, এর পর মুক্তার হোসেন নামে এক ব্যক্তি এই কারখানাটি ক্রয় করে, এস এম ফ্যশন নামে চালায়তে শুরু করে। শ্রমিকরা আমাদের কাছ আসলে আনরা শ্রম আইন অনুযায়ী বেতনের দাবিতে অবস্থান কর্মসুচি পালন করি।
গত ৫,৯,২২ইং তারিখ শিল্প পুলিশ ও বিভিন্ন শ্রমিকনেতাদের সমন্বয়ে সাক্ষরিত কাগজে ১৯.০৯.২২ ইং তারিখ রাতে দুই লক্ষ টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা কিন্তু মুক্তার সাহেব টাকা না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডাইরি করেছে। ভুক্তভোগী গার্মেন্টস মালিক মুক্তার হোসেন জানান গত ৫ তারিখ আমাকে জিম্মি করে ২ লক্ষ টাকা ১৯ তারিখ দিতে বলেন, আমি বাধ্য হয়ে উক্ত কাগজে সাক্ষর দেই।
ঈদের আগে মাহবুবা গার্মেন্টসের মালিক পক্ষ কারখানা পরিচালনা করতো তারা নাকি শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে কারখানাটি বন্ধ করে দিয়েছে আমরা এব্যপারে জানিইনা। সেই শ্রমিকদের বেতন আমার কাছে দাবি করে শ্রমিক নেতা ইমন সিকদার । এই সুত্রে আমার কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি সহ বিভিন্ন হুমকি প্রধান করে আসছে শ্রমিক নেতা ইমন সিকদার ।
তিনি আরও জানান এরা তাদের কিছু নিজস্ব শ্রমিক নিয়ে বিভিন্ন সময় কারখানার সামনে অবস্থান করে এবং টাকা দাবি করে। আমরা বর্তমানে আতংকে কারখানা পরিচালনা করে আসছি ইমন সিকদার যেকোন সময় এই কারখানার ক্ষতি সাধন করতে পারে বলে আমি নিজে বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করি যার নং ৭০৬, ০৭/০৯/২২ ইং তারিখ।
Leave a Reply