বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ১০:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে সনাতনী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত। টেকেরহাট শহীদ সরদার সাজাহান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ” জুলাই গণ অভ্যুত্থান”দিবস উদযাপিত। ভোগ বিলাসে উপদেষ্টারা ব্যস্ত : রংপুরে সাদিক শার্শায় হতদরিদ্রের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক-২ কদমবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের শপথবাক্য পাঠ ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাদারীপুরে বাবুর্চি সহ ২টি মরদেহ উদ্ধার মুকসুদপুরের বাটিকামারী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন সেলিমুজ্জামান সেলিম গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিবার- পরিকল্পনা বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত “সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর আগে ভাবুন—এই ৫টি দিক” ১০০ টাকার প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার

গোপালগঞ্জে কবি নির্মলেন্দু গুণের সাথে এক সন্ধ্যা কবিতা পাঠের আসর

কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
  • Update Time : শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২
  • ৪৭৬ Time View

গোপালগঞ্জে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নিবেদিত কবিতা ও কবি নির্মলেন্দু গুণের সাথে এক সন্ধ্যা কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কাশবন সাহিত্য পত্রিকা-এ আসরের আয়োজন করে।

বুধবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় শুরু হয় এ আসর। সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আসরে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।
কাশবন সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক কবি মিন্টু হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আসরে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. ওহিদ আলম লস্কার, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শাহ আলম, কবি রবীন্দ্রনাথ অধিকারী, কবি গাজী লতিফ, গোপালগঞ্জ টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন মুন্না, যুগান্তরের সাংবাদিক এস, এম হুমায়ূন কবীর, বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা শেষে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ ও ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার ইতিহাস তুলে ধরেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।

এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবর পেয়ে ১৫ আগস্ট সকালে আমিও ছুটে গিয়েছিলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে।সেদিন আমি এক মাত্র শেখ সেলিমকে ছাড়া কাউকে দেখিনি।কবি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আজ কত নেতাকে দেখি। তাদের মুখে বড় বড় বুলি শুনি। সেদিন তারা ছিলেন কোথায়? বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর আমি প্রতিবাদ করেছি।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙ্গালীর স্বাধীনতা সংগ্রামের মহকাব্যের কবি। তিনি কবিতা ভালবাসতেন। তিনি তাঁর মধ্যে থাকা কবি সত্তার বিকাশ ঘটাতে চাননি। বাঙ্গালী জাতির মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সকল কাব্যকে অতিক্রম করেছে।

পরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নিবেদিত কবিতা পাঠ করা হয়। এ আসরে নির্মলেন্দু গুণের পরিবারের সদস্য, কবি ও সাহিত্যকগণ এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি কবি মিন্টু হক বলেন, ১৫ আগস্টের সেই বিভীষিকাময় রাতের যারা কুশিলব তারা কখনও চিন্তা করতে পারেনি এক মৃত মুজিব, জীবিত লক্ষ কোটি মুজিবের চেয়েও শক্তিশালী।

পরে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকালে কবি নির্মলেন্দু গুণ পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করেন।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category
Adsense