মাগুরা প্রেসক্লাবের পাশাপাশি একটি শক্তিশালী সাংবাদিক সংগঠন গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম ফেরদৌস রেজার হাত ধরে |
নিজনান্দুয়ালী গ্রামের মধ্যপাড়ার মজিদ মিস্ত্রির ছেলে হোসেন নাসির কামরুল ইসলাম নিজেকে প্রকৌশলী দাবি করে রিপোর্টার্স ইউনিটির সহসভাপতি পদ লাভ করেন |
সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমপক্ষে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ এর শিক্ষা সনদ থাকতে হবে, পরবর্তীতে দেখা যাই সে তো প্রকৌশলী নয়ই, মাধ্যমিকের গণ্ডিটাও পেরোতে পারেনি | অবশেষে দেখা যায় কোনো রকম ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করতে পেরেছেন, কোনো নিউজ লেখা তো দূরের কথা, ভালো ভাবে সংবাদ পড়তেও পারে না |
বছর পনেরো আগেও মাগুরার শহরের বিভিন্ন স্থানে রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে দৈনিক দিনমুজুর হিসেবে কাজ করতেন | এরপর চলে যান সৌদিআরবের তপ্ত মরুভূমিতে, কিছুদিন কাজকর্ম করে এসে দেশে ফিরে আবার পুরানো পেশায় ফিরবেন বলে ভাবছিলেন, এমন সময় ছোট বেলার বন্ধু নজরুল ইসলাম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, মাত্র ৫ লক্ষ টাকার বিনিময় মাগুরা ক্লাসিক অটো (বর্তমান নাম রুহানি অটো) নাম একটি অটো রিক্সায় ব্যাটারির দোকান দেন মাগুরা বাস টার্মিনালের পাশে , বছর তিনেক নজরুলকে দিয়ে ব্যবসা দাঁড় করিয়ে , কোনো ধরণের হিসাব ও কারণ ছাড়াই, হঠাৎ একদিন তাকে ব্যবসা থেকে বের করে দেন |
এভাবেই প্রতারণার মাধ্যমে পুরো ব্যবসা নিজের কুক্ষিগত করেন, একটি টাকাও দেন নি বন্ধু নজরুলকে | মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির অন্য সদস্য ইউনুস আলী “ডেসটিনি” ও “মিশন ২১” নামক দুইটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অসংখ্য নিরীহ ও খেটে খাওয়া মনুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, এছাড়া সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কোর্টমার্শাল এর মাধ্যমে জেল জরিমানা হয় ও পরে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়, তার এই ধরণের অনৈতিক কর্মকান্ড এখনো বিদ্যমান আছে, গত কিছুদিন আগেও সে অন্য আরেক ব্যক্তির বৌকে ভাগিয়ে বিয়ে করার অভিযোগে জেল খেটেছে ও মাগুরা থানায় এব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে, এমন অগণিত অনৈতিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে |
গত ২৮ মার্চ ২০২০ তারিখে অর্থাৎ মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পরে ইউনুস আলীকে (ভাগ্নিকে বিয়ে করার অপরাধে ও কিছু ছেলেদের অর্থ প্রতারণার অভিযোগে) অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য সবার সম্মতি ক্রমে বহিস্কার করা হয় | এখন এই দুই প্রতারক মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির নাম ভাঙিয়েএবং নিজেদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অবিহিত করে বিভিন্ন উপজেলায় শাখা সংগঠন খুলে অধিকাংশ অযোগ্য ও ভুঁইফোড় সাংবাদিকদের দিয়ে অপরাধমূলক কর্ম কান্ড চালিয়ে যাচ্ছে |
এইসব সাংবাদিকদের বেশিরভাগই সংবাদ লিখতে পারে না, যা খুবই লজ্জাজনক এবং এদের কারণে মাগুরায় সাংবাদিকতার পরিবেশ দারুন ভাবে দূষিত হয়ে পড়ছে |
গত ২০ জুলাই মাগুরা রিপোর্টাস ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম ফেরদৌস রেজা , অভিযুক্ত কামরুল ইসলামকে লিগ্যাল নোটিস দিয়েছেন, জানতে চাওয়া হয়েছে গঠন তন্ত্রের কোন ধারা বলে তিনি নিজেকে সভাপতি ও বহিস্কৃত ইউনুস আলীকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছেন, ১৫ দিনের মধ্যে কামরুলের শিক্ষা সনদসহ জবাব না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে |
Leave a Reply