শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জে প্রতিবন্ধী এবং প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের মাঝে বিনামূল্যে হুইলচেয়ার বিতরণ ভারতে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি গ্রাম পরিচিতি পেল ‘এক কিডনির গ্রাম’ নামে মুরাদনগর গ্রামে গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য পরিবেশ পুলিশের অভিযানে আসামির লাফিয়ে আত্মহত্যার হুমকির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে দলের নাম ব্যবহার করে কেউ অসদাচরণ করলে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা : রিজভী তেজগাঁওয়ে সৌদি রিয়াল ডাকাতির ঘটনায় ১৩ জন গ্রেপ্তার পুতিনকে ফোন করার পর ট্রাম্প বললেন, ‘আমি হতাশ’ সবজির দাম বেড়েছে, তবে ডিম ও মুরগিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে কুমিল্লার মুরাদনগরে নারী নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধছে ডায়াবেটিস, ঘুমের সময়ই দেখা দেয় সতর্কবার্তা লক্ষণগুলো

লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর কারাদণ্ড

 সোহেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর
  • Update Time : বুধবার, ২০ জুলাই, ২০২২
  • ১৮৮ Time View

লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলাতে মাথায় আঘাতের পর পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে ফাতেমা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী মো. শাহজাহানের আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শাহজাহান নোয়াখালীর চর জব্বার থানার চরজবলু ইউনিয়নের চরবাগ্যা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, আদালতে স্ত্রী হত্যায় শাহজাহান দোষী প্রমাণিত হয়েছে। বিচারক তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন।

রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ইং সালের ২৮ জুলাই রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামের মৃত আকবর আলীর মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে শাহজাহানের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তখন প্রায় ১ লাখ টাকার মালামাল কিনে শাহজাহানদের দেওয়া হয়।

বিয়ের কিছুদিন যাওয়ার পর ফাতেমাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য চাপ দেন। যৌতুক না পেয়ে বিভিন্ন সময় তাকে নির্যাতনও করা হয়। একই বছর ২১ আগস্ট শাহজাহানকে নিয়ে ফাতেমা তার বড়বোন রাশেদা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যান। পরদিন সকালে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ওই বাড়ির পুকুরে গোসল করতে যান।

এরপর থেকে দুজনের কেউই ঘরে ফিরে যাননি। রাশেদা তাদের খুঁজতে বের হন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পুকুরের ভাসমান অবস্থায় ফাতেমার মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

একইদিন ফাতেমার ভাই মো. মহিউদ্দিন বাদী হয়ে রামগতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই দিকে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রথমে ফাতেমার মাথায় আঘাত করা হয়। পরে তাকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

২০১৮ সালের ১৯ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রামগতি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল হাই আদালতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও ১০দশ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Adsense