ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী মিল্টন মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, কদমবাড়ী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রসাদ মন্ডল আমার স্ত্রী (দুই সন্তানের জননী) দিপ্তী মন্ডলকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে ২ মাস আগে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেছেন। আমি এখন ৪ ও ১১ বছরের দুই কন্যা সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
আমার সন্তানদের কথা বিবেচনা করে আমি আমার স্ত্রীকে এখনও ফিরিয়ে নিতে সম্মত আছি। এ বিষয় নিয়ে প্রসাদ মন্ডলের সাথে কথা বললে তিনি আমাকে হুমকি দেন এবং বলেন তোর বউ নিয়েছি এখন মেয়ে দুটিকেও নিয়ে যাবো।
মিল্টন আরও বলেন মেম্বার আমাকে হুমকি দিয়ে জানিয়েছে আমার দোকানের সমস্ত মালামাল তার টাকায় কেনা। তার টাকা ফেরৎ দিতে হবে অথবা দোকান লিখে দিতে হবে। প্রসাদ মেম্বার গভীর রাতে আমাকে দোকান থেকে ডেকে তুলে বিভিন্ন রকম হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে থাকে। আমি অসহায়, দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী হওয়ায় আমার কথার কেউ গুরুত্ব দেয় না।
প্রতিবেশীরা জানান, প্রসাদ মন্ডলের সাথে মিল্টনের গভীর সম্পর্ক ছিল। আর সেই সম্পর্কের সুত্র ধরেই মেম্বার তার স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে। নির্বাচনের সময় ভোট চাওয়ার সুযোগে দিপ্তি মন্ডলের সাথে তার এই সম্পর্ক তৈরী হয়।
অভিযুক্ত মেম্বার প্রসাদ মন্ডল জানান, মিল্টন স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার পরেই আমি বিয়ে করেছি। সে এখন তার স্ত্রী না । স্ত্রী দাবি করলে আমি মিল্টনের নামে মামলা করব।
কদমবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, প্রসাদ মন্ডল খারাপ প্রকৃতির লোক। সে এলাকার খারাপ লোকদের নিয়ে মাদকের কারবার করে। প্রতিবন্ধী মিল্টনের স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ে করেছে। এটি সমাজের একটি ঘৃন্যতম কাজ করেছে।
Leave a Reply