রোববার মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবনালের বিচারক প্রনব কুমার দাস মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলার বাদী মোছা: মনিরা আক্তার সোনিয়া বাড়ি রামানন্দকাঠি গ্রামে।
অন্যদিকে চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মোল্যা বামনখালি গ্রামের বাসিন্দা। মামলায় বাদীর অভিযোগ পরিবারের অসচ্ছলতার সুযোগে নিয়ে স্বামীর অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম দীর্ঘ দিন তার বাড়িতে যাওয়া আসা করেন ও অনৌতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং নানা প্রলোভন ভয়ভীতি ও বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে দিয়ে গত ২রা ফ্রেব্রুয়ারী তাকে আগের স্বামী শেখ রাসেল কবির রাসুর সংগে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান।
উপরন্ত সর্বশেষ ১৬ই জুলাই শনিবার রাত ৯টার দিকে তাকে জোরপূবর্ক ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যানএবং বাদীর পক্ষ থেকে ১৭ জুলাই রোববার আদালতে মামলা দায়ের করা হয় । অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বলেন, এই মহিলার কুকর্মের বিভিন্ন সালিশ দরবার আমি নিজেই থেকে করেছি।
এলাকাবাসীর একাধিক অভিযোগ করে বলেন এই মহিলা একাধিক স্বামীর ঘর ভেঙ্গে শেখ রাসেল কবির রাসু নামের যুবকের ঘরে ১৭ বছর সংসার করেছে, এই পক্ষের ১৪ বছরের ছেলে ও ৫বছরের মেয়ে সন্তান রয়েছে। এরপর বর্তমান রানিং মেম্বার ও ২ সন্তানের জনক শরিফুল ইসলামের সাথে গোপনে প্রেম ভালোবাসা করে পালিয়ে গেছে।
চেয়ারম্যান আরো জানান, কারাবন্দি বিএনপি নেতা কাজি সালিমুল হক কামালের ভাই সোনা কাজি দীর্ঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এসব সাজানো ষড়যন্ত্র মামলার কারন হতে পারে। ভাইরাল হওয়া ভিডিও এবং ছবি প্রসংগে তিনি বলেন ওই নারী একজন মেম্বারের স্ত্রী।
বিভিন্ন সময় আমার অফিসে এসে পাশে বসেছেন। কিন্ত আমি একজন ৮০বছরের বৃদ্ধ মানুষ, কিভাবেনোংরা ভিডিও তৈরি করা হয়েছে আমার জানা নাই। তবে প্রকাশিত ভিডিও কোনো ভাবেই ধর্ষণের মধ্যে পড়ে না বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করেন |
Leave a Reply