মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত এলাকার জনপ্রিয় ইউপি সদস্য খন্দকার মামুনের মুক্তির দাবিতে আজ ৩ জুলাই রবিবার বিকাল ৫ টায় সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে মাগুরার শালিখার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের পুলুম গ্রামে মানববন্ধন করার চেষ্টা করা হলে শালিখা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নজিরবিহীন ভাবে বাধা প্রদান করা হয় এবং ভুক্তভুগি পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে প্রহার করা হয় | পরে ভুক্তভুগীর পরিবারের পক্ষ থেকে রাতে অন্যত্র মানববন্ধন করা হয় |
মামলাটি তদন্তাধীন থাকা অবস্থায় ও বিচারের আগেই শালিখা থানার ওসি অভিযুক্ত খন্দকার মামুনকে সন্ত্রাসী বলে অভিযুক্ত করেন, তিনি আরো বলেন কোনো অপরাধীর পক্ষে মানববন্ধন করা যাবে না ও সাংবাদিকরা সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না | অন্যদিকে খুলনা পুলিশের ডিআইজি মহোদয়কে বিষয়টি অবিহিত করলে তিনি মানববন্ধন মানবাধিকের একটি অংশ বলে উল্লেখ করেন |
শালিখা উপজেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মামুন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য নির্বাচন করে প্রতিপক্ষেকে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত ও গত ঈদ উল ফিতরে সরকার কর্তৃক গরিবের জন্য বরাদ্দকৃত ৬/৭ বস্তা চাল চুরি ঘটনা ধরিয়ে দেওয়াই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে জনপ্রিয় এই ইউপি সদস্যের |
এলাকার জনগণ অভিযোগ করেন নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউপি সদস্য হিসেবে খন্দকার মামুনকে গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোনো উন্নয়ন কাজে তাকে কখনো সম্পৃক্ত করা হয় নি, অজ্ঞাত কারণে তাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে, এবং সবশেষে তাকে অবৈধ অস্ত্রের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে |
মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে মামুনকে মুক্তি দেয়ার আহবান জানান ও ঘটনাটির বিচার বিভাগীয় তদন্তের অনুরোধ জানান, তারা আরো বলেন মামুন ৬ বছর পুলুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ও স্কুলের বাচ্চাদের কাছেও তিনি সমান জনপ্রিয় ছিলেন |
মামুন সামাজিক কাজ কর্মের পাশাপাশি পুলুম বাজারে ইলেক্ট্রনিক্সের ব্যবসা করতেন, বাজারে তার একটি টিভি ফ্রিজের দোকান আছে | ঘটনার দিন গত ২৩ জুন বৃহস্পতিবার বেলা আনুমানিক বিকাল ৪:৩০ থেকে ৫ টার মধ্যে মামুন একটি ফ্রিজ বিক্রি করে ও পার্শবর্তী কাঁচামালের দোকানদার জিহাদুর রহমানের সহায়তায় ভ্যানগাড়িতে তুলে দেয়, পথমধ্যে কে বা করা একটি ধানের বস্তা উক্ত ভ্যানগাড়িতে তোলে এবং পরে পুলুম কবরস্থানের কাছাকাছি আসলে ডিবি পুলিশ পরিচয়দেওয়া কিছু সদস্য ভ্যানটিকে থামিয়ে স্থানীয় অপরএকজন ব্যবসায়ী মো আলমগীর হোসেনের সহায়তায় ধানের বস্তা তল্লাশি করে এবং শর্টগান সদৃশ একটি বস্তুর উপস্থিতি আছে বলে টের পান, পরে এসআই মো আলমগীর নিজেকে RAB এর সদস্য পরিচয় দেন ও উক্ত যন্ত্রটিকে শর্টগান বলে নিশ্চিত করেন |
এরকিছুক্ষন পরে অর্থাৎ বিকাল ৫:৩০ টার দিকে খন্দকার মামুনকে গ্রেফতার করা হয় | একমাত্র প্রতক্ষদর্শী সাক্ষী মো আলমগীর হোসেন ও অন্যানোরা নিশ্চিত করে বলেন ঘটনার সময় মামুন সেখানে উপস্থিত ছিল না এবং ঘটনার সময় বিকাল ৫ টা, অপর প্রতক্ষদর্শী জিহাদুর রহমান জানান ভ্যানগাড়িতে ফ্রিজ উঠানোর সময় কোনো ধানের বস্তা ছিল না |
কিন্তু মামলায় (মামলা নং: ২৪০৪ (৩)/১ ) বলা হয়েছে ঘটনা সন্ধ্যা ৭:৩০ টায় এবং মাদক বিক্রিকালে মামুনকে দেশি তৈরী অস্ত্রসহ হাতে নাতে ধরা হয়েছে এবং দুর্বল চিত্তনাট্যের কারণে এখানে ধানের বস্তার বিষয়টি বাদ দেওয়া হয় | এলাকা বাসীর দাবি এধরণের মিথ্যা মামলার পিছনে যারা কলকাঠি নাড়ছেন ও RAB এর যেসকল সদস্য এই সাজানো নাটক তৈরী করছেন তাদের বিরুদ্ধে সঠিক ভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক |
বিষয়টি নিয়ে এসআই (নি:) মো আলমগীর হোসেন, র্যাব ৬, সিপিসি- ৩ কে জিজ্ঞেস করলে তিনি মামলার কাগজ পত্র দেখে বলতে হবে বলে জানান | উল্ল্যেখ ঘটনার দিন মামুনের দোকানের পাশে অপর দুটি দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা চলমান ছিল |
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত