শিল্পঅঞ্চল আশুলিয়ায় ঘনবসতি হওয়ায় সাধারণ শ্রমিক রাস্তায় বের হলে হাইওয়ে রাস্তা সহ সড়ক মহাসড়কে গাড়ির চাপ অনেক বেশি হয়, যে কারণে যানজট নিরসনে কাজ করছে ঢাকা জেলা ট্রাফিক পুলিশ।
অতিরিক্ত চাপ সামলাতে ঢাকা জেলা ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক সহযোগিতা করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কমিউনিটি পুলিশ।
বর্তমানে এই পুলিশ গুলোর বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যপক চাঁদাবাজীর অভিযোগ, বাইপাইল মোড়ে সরজমিনে গেলে দেখা যায় ভোর চারটা থেকে নয়টা পর্যন্ত বিভিন্ন ট্রাক থামিয়ে পঞ্চাশ থেকে একশত টাকা করে নিচ্ছে আমিনুর নামে এক কমিউনিটি পুলিশ।
জামগড়া মিজান নামে আরেক কমিউনিটি পুলিশ রাত দশ থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত নিষিদ্ধ অবৈধ থ্রি হুইলার নামক যানবাহন চলাচলের সুবিধা করে দিয়ে মাসিক হারে অথবা দৈনিক হারে করছে চাঁদা বাজি।
সকাল ছয়টার সময় জামগড়া ছয়তলা নামক স্থানে গেলে দেখা মেলে থ্রিহুইলার ঔ গাড়ি গুলো সিরিয়াল করে সিভিলে টাকা উঠানোর দৃশ্য।
এবিষয়ে জাগড়া ট্রাফিক বক্সে দায়িত্ব রত কর্মকর্তার কাছে জানতে আসলে দেখা যায়, উক্ত স্থানে একটি থ্রি হুইলার নামক গাড়ি আটক করে রাখা হয়েছে।
গাড়ীটি আটকের বিষয়ে জানতে উক্ত গাড়ির মালিক ফুলচান কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন প্রায় শতাধিক থ্রি হুইলার গাড়ি চলাচল করছ কোন সমস্যা হয় না, আমার গাড়িটি বেবি গাড়ি ছিলো নাম্বার প্লেট রয়েছে। গাড়িটি মর্টিফাই করেছি আমি বেশি হইনা এজন্য মাসিক মান্থলি করা হয় নাই। মাসে তিন হাজার টাকা দিলে রাত দশটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত গাড়ি চালাতে পারবো নাহলে চলতে দেওয়া হবে না। মাসিক মান্তলি না করার কারণে গাড়িটি আটক করে ডাম্পিংয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিন হাজার টাকা কে চেয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সার্জেন আব্দুর রশিদ, এবিষয়ে সার্জেন রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন কমিউনিটি পুলিশ গুলো গাড়ীটি ধরেছে আমি গাড়ির মালিক কে বলেছি তুমি বাইপাইল গিয়ে রেকার বিল করে গাড়ি নিয়ে যাও। যেহেতু আপনাদের বক্তব্য দিয়েছে টি আই স্যার কে আমি জানিছি বিষয়টি তিনি দেখবেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন যেহেতু এই গাড়ি গুলো অবৈধ সে কারণে আমাদের কিছু করার নেই, হয়তো কমিউনিটি পুলিশ গুলো পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে এগুলো করে বেড়াচ্ছে, আমি এ মান্তলি সর্ম্পেকে কিছু জানিনা । কমিউনিটি পুলিশ গুলো মাঝে মাঝে আমাদের কেউ তোয়াক্কা করে না এবিষয়ে স্যারের সাথে কথা বলেন।
পথচারিরা বলছেন আশুলিয়া টু বাইপাইল রাস্তার যে অবস্থা এমনিতেই চলাচল দূর্বিসহ হয়ে পরেছে, এর মধ্যে এই গাড়ি গুলো চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটণা।, সরকারি ভাবে তিন চাক্কা বিশিষ্ট ব্যটারি চালিত গাড়ি হাইওয়ে রাস্তায় চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও কাউকেই তোয়াক্কা করছেন না তারা। এসমস্ত গাড়ির গুলোর কারণে অধিক সময় লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট।
উপরোক্ত বিষয়ে জানতে জামগড়া ট্রাফিক বক্সের দায়িত্বরত টি আই সোহেল রানা কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাত দশটার পর গাড়ি গুলো চলে এবিষয়ে আমি জানি যেহেতু ওদের কোন বেতন নাই আমার জানামতে হয়তো দশ বিশ টাকা নিতে পারে।
উক্ত গাড়ির মালিক চালকরা বলছেন কমিউনিটি পুলিশ নামক চাঁদাবাজদের কারনে আমরা অতিষ্ঠ আমরা গরিব অসহায় মানুষ আমাদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বেবচনা করার জোর দাবী জানাচ্ছি।
Leave a Reply