হবিগঞ্জের বাহুবলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল মিয়া ও জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল মিয়া ও ছাত্রশিবির নেতা শাহ আলম বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূর্বক কয়েকটি পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে।
এসময় মামলার বাদী পক্ষ বাঁধা দিতে গেলে তাদের দুলাল বাহিনীর দলবল নিয়ে হামলায় চালানোর অভিযোগ উঠেছে,এ হামলায় পুলিশ সহ ১০জন আহত হয়েছেন, আহতদের হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে,এস আই শাহনুরকে বাহুবল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ২৭ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১টার দিকে উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বাহুবল উপজেলার জয়পুর গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে বাহুবল উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল মিয়া , হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল মিয়ার শাহ আলম ছাত্রশিবির নেতা ভাগনী ও প্রতিবেশী বাচ্চুর মিয়ার ছেলে রাজিবের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে প্রায় ৫ মাস যাবত তাদের মধ্যেবিরোধ সৃষ্টি হয়, এ বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে চলছে মামলামকদ্দমা, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রভাব বিস্তার দেখিয়ে প্রতিবেশী বাড়ির প্রায় ১৫টি পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে প্রথমেই দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করে ছাত্রলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল মিয়া ও জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল মিয়া, ছাত্রশিবির নেতা শাহ আলম ।
প্রতিকার চেয়ে বন্ধ রাস্তা কোলে দেযার জন্য, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দুটি অভিযোগ দায়ের করেন রাজিবের মা ও বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী শাহেনা আক্তার।পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে দুটি অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন ঐ ছাত্রলীগ নেতা দুলাল ও ছাত্রদল নেতা হেলাল ।
পরবর্তীতে শাহেনা আক্তার বাদী হয়ে আদালতে একটি নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করেন, মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় বাহুবল মডেল থানার এস আই শাহনুরকে। এস আই শাহনুর আদালতের নিষেধাজ্ঞার মামলাটি পাওয়ার পর উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা ও দাঙ্গা হাঙ্গামা থেকে বিরত থাকতে নোটিশ প্রদান করেন,রবিবার সকালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক দলবল নিয়ে বিরোধীয় জায়গাতে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে দুলাল ও হেলাল।
এসময় বাদী পক্ষের লোকজন বাঁধা দিতে গেলে তাদের উপর হামলা চালায় তারা,খবর পেয়ে একদল পুলিশ নিয়েঘটনাস্থলে ছুটে যান বাহুবল মডেল থানার এস আই শাহনুর ও কামাইছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই সেলিম হোসেন। এসময় পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা চালায় দুলাল বাহিনীর লোক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুটি পক্ষ, সংঘর্ষ এস আই শাহনুর, বাদী শাহেনা আক্তার(৪০) মোছাঃ তাহেরা খাতুন (৪০), মোছাঃ সিতারা খাতুন, (৩৫), মোছাঃ ফাতেমা খাতুন (৭৫), খুশবানু (৭০) রাবিয়া খাতুন (৬০) আহত হয়।
ঘটনার সময় আহতদের নিকট থাকা স্বর্ণ , বিভিন্ন জিনিস ও নগদ অর্থ সহ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার অধিক ক্ষতি ও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । এ বিষয়ে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা আছে, সংঘর্ষে দুই পক্ষের লোকই আহত হয়েছে ।
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ কেউ দেইনি । অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । তাদেরকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাহুবলে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
আলোকিত জনপদ ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
https://www.facebook.com/alokitojanapad
আলোকিত জনপদ টুইটার আইডিটি ফলো করুন
https://twitter.com/alokito_janapad
দেশ বিদেশের সব খবর সবার আগে জানতে আলোকিত জনপদ ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন।
ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই আলোকিত জনপদ এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন।
বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
আলোকিত জনপদ এর ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন
https://www.youtube.com/channel/UCNzUOMDlhwvg5q6Mu_x3khQ
Leave a Reply