মাদারীপুরের রাজৈরে সরকারী একটি রেকর্ডিয় খাল দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের উত্তর গোয়ালদী গ্রামের খাদেম বাজার সংলগ্ন খাল দখল করে দোকান নির্মাণের জন্য পাকা ঢালাই দিয়েছেন ইলিয়াস মাতুব্বর নামে স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। তবে তিনি দাবি করেন-এটি রেকর্ডিয় খাল নয় ব্যক্তিগত জমি তাদের। এদিকে ৪ বছর পূর্বে একইস্থানেই খাল দখল করে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন তারই চাচাতো ভাই লোকমান মাতুব্বর। তার দাবি, তারা তাদের নিজেদের জমিতে দোকান তুলেছেন।
এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, তারা ক্ষমতাসীন হওয়ায় এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছেনা প্রশাসন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান , যে খালের ওপর দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে এটি একটি প্রবাহমান খাল। ছোট বেলায় ওই খালে তারা অনেক মাছ ধরেছেন গোসলও করেছেন। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে দেখছি খালটির মালিক এখন মাতুব্বররা। রাতারাতি দোকানপাট নির্মাণ করে ভাড়াও তুলছেন তারা। এ কাজে তাদের কেউ বাধা না দেওয়ায় তারাই নতুন করে আরও বেশ কয়েকটি দোকানপাট নির্মাণ করছেন। তারা বলেন, স্থানীয়ভাবে তারা ক্ষমতাসীন হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ দেন না। আর যারাও আসেন তারা টাকা খেয়ে আর কোন ব্যবস্থা নেয় না।
জানতে চাইলে ইলিয়াস মাতুব্বর মোবাইলে ফোনে জানান, যে খালটির ওপরে দোকান নির্মাণ করছি সেটি তার মালিকানার (সাতবাড়িয়া) মৌজার জমি। তাই আমরা দোকান তুলতেছি। মালিকানা জমি হলে খালের ওপরে দোকান নির্মাণ কিভাবে হচ্ছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমাদের জমিতে আমরা দোকান করবো তাতে কার কি আসে যায়। অন্যদিকে আরেক দোকান মালিক লোকমান মাতুব্বর তিনিও একই কথা জানান।
এ ব্যাপারে ইশিবপুর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারী খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছিলাম। এখন কিভাবে তারা সেখানে কাজ করে তা আমার জানা নাই। তবে এই ব্যাপারে জানতে চেয়ে ইউএনও স্যার আমাকে মোবাইল করেছিল, তিনি আমাকে বলেছেন আগামী বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) খালের মাপ নিয়ে কার মালিকানা কতটুকু রয়েছে তা দেখতে। আমরা মাপেরদিন এ ব্যাপারে জানতে পারবো এই খালের কতটুকু সরকারি আর কতটুকু মালিকানা। এর আগে কিছু বলতে পারছিনা।
এ ব্যাপারে রাজৈরে উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিসুজ্জামান বলেন, এই বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। আমি জানার সাথে সাথে ওই ইউনিয়নের ভূমি সহকারি কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। অতিসত্বর ওই খালের মাপ নেয়ার কথা বলেছি। যদি সরকারি খালের মধ্যে কেউ দখল করে দোকান ঘড় তুলে তাহলে আমরা আইগত ব্যবস্থা নিবো।
Leave a Reply