শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
একসঙ্গে কতটি কোয়েলের ডিম খাওয়া নিরাপদ? হিরো আলম ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে, ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ঘোষিত সময়ের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন সম্ভব নয়: সালাহউদ্দিন হতাশায় শেষ বাংলাদেশ, জয়ের কাছাকাছি শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানের সঙ্গে স্থগিত, বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে আগ্রহী ভারত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কঠোর নির্দেশনা, অমান্য করলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা আবারও ৪ দিনের রিমান্ডে ‘নগদ’-এর নেতৃত্বে নতুন চেয়ারম্যান ডিভোর্সের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া ইউক্রেন বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) অনুরোধ জানাবে।

স্বাধীনতার লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রশংসা ভারতের সেনাপ্রধানের

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২১
  • ৩১৬ Time View

ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে মুক্তি ও স্বাধীনতার অধিকারের পক্ষে রুখে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রশংসা করে বলেছেন ১৯৭১ সালে অগণিত মুক্তিযোদ্ধা তাদের মাতৃভূমির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
গতকাল (বুধবার) এখানে ‘ভারত-বাংলাদেশ: বন্ধুত্বের পঞ্চাশ বছর’ শীর্ষক সেমিনার কাম ওয়েবিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নের জন্ম দিতে সামনে থেকে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশী নেতাদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
সেন্টার ফর ল্যান্ড ওয়ারফেয়ার স্টাডিজ (সিএলএডব্লিউএস) ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে (আইআইসি) ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর এবং সেই সাথে ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে নিষ্পত্তিমূলক বিজয়ের স্মরণে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এই মহাকাব্যিক সংগ্রামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবদানের স্বীকৃতি যা বাংলাদেশের লাখো মানুষের জীবন ও ভাগ্য বদলে দিয়েছে।
ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.)  এম হারুন-অর-রশিদ, বীর প্রতীক ও আলোচনায় অংশ নেন। তারা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন এবং দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করা হয়। সেমিনারে পর্যটন ও সাধারণ সংস্কৃতির মতো কূটনৈতিক হাতিয়ার, উন্নত অবকাঠামোগত সংযোগের প্রয়োজনীয়তা এবং অর্থনৈতিক সংহতির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বক্তারা এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে উভয় দেশকেই কাজ করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট জনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশিদ, , সশস্ত্র বাহিনীকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
পরে অনুষ্ঠান চলাকালীন ‘‘বাংলাদেশ লিবারেশন আ্যট ৫০ ইয়ার্স: বিজয়’ উইথ সিনার্জি ইন্ডিয়া-পাকিস্তান ওয়ার ১৯৭১’’ শিরোনামের একটি বইও প্রকাশ করা হয়।
বইটি ১৯৭১ সালের যুদ্ধের ঐতিহাসিক এবং উপাখ্যানের বিবরণের মিশ্রণ এবং এতে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের লেখকরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন, যাদের অনেকেই প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত শমসের চৌধুরী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ এবং সে সময় যুদ্ধবন্দী হওয়া সম্পর্কে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বাংলাদেশি সেনাদের য নৃশংসতা ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল তাও প্রকাশ করেন।
বই প্রকাশের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়, যেখানে একজন যোদ্ধা হিসেবে এবং গবেষণার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য সিওএএস ব্রিগেডিয়ার নরেন্দ্র কুমারকে (ভিজিটিং ফেলো, সিএলএডব্লিউএস) ‘স্কলার ওয়ারিয়র অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেন। সিএলএডব্লিউএস ফিল্ড মার্শাল মানেকশ রচনা প্রতিযোগিতা (এফএমএমইসি) বিজয়ীদের পুরষ্কার এবং প্রশংসাপত্র প্রদান করা হয়। (বাসস)

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Adsense