শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রাজৈরে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে সনাতনী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত। টেকেরহাট শহীদ সরদার সাজাহান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ” জুলাই গণ অভ্যুত্থান”দিবস উদযাপিত। ভোগ বিলাসে উপদেষ্টারা ব্যস্ত : রংপুরে সাদিক শার্শায় হতদরিদ্রের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক-২ কদমবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের শপথবাক্য পাঠ ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাদারীপুরে বাবুর্চি সহ ২টি মরদেহ উদ্ধার মুকসুদপুরের বাটিকামারী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন সেলিমুজ্জামান সেলিম গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিবার- পরিকল্পনা বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত “সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর আগে ভাবুন—এই ৫টি দিক”

আওয়ামী লীগকে আরো সুসংগঠিত করার এখনই সময়। অরিন্দম হালদার, সম্পাদক, আলোকিত জনপদ।

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৮৩৫ Time View

এশিয়া মহাদেশের প্রাচীনতম সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। মুজিব আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই আদর্শ বুকে লালন করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। ২০০৮ সালের পরে বিরোধী দলের সাংগঠনিক রাজনৈতিক কর্ম পরিকল্পনা নেই বললেই চালে, তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারন হলো অতীতের অমানবিক নিষ্ঠুর আচরণ, স্বৈরাচারীতা ও ক্ষমতার অপপ্রয়োগ। ২০০৮ থেকে জনগণের ব্যপক সমর্থনে আজ অবধি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে জনস্বার্থে দেশের ব্যপক উন্নয়ন করে যাচ্ছে। এ উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রখর দূরদৃষ্টি ও যুগোপযোগী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন সক্ষম হচ্ছে। তবে মনে রাখা দরকার মানুষের জীবন কাল ও রাজনৈতিক ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতানেত্রীদের অবদান সর্বাধিক। ক্ষমতায় বেশি দিন থাকলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা অনেক সময় ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়। তৃনমূল ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত হলেই সুযোগ সন্ধানী দলছুট বাটপাররা দলের ভিতর শক্ত অবস্থান নিয়ে ন্যায়। তৃনমূলে সৃষ্টি হয় বিভাজন। এ বিভাজন হতো না, যদি আমাদের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ স্থায়ী ভাবে এলাকায় থাকতেন এবং যদি সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করতেন। দেশের ৬৪ টি জেলার নেতৃবৃন্দ এলাকামুখী না হওয়ায় এ সমস্যা জটিল আকার ধারণ করছে দিনদিন। দলকে সুসংগঠিত করতে দলের স্হানীয় নীতিনির্ধারণীদের নিজ নিজ এলাকায় বসবাস করলে তৃনমুল আরো শক্তিশালী হতো। নেতাদের কেন্দ্রমুখী থাকায় তৃনমুল আজ খন্ড খন্ড দলে বিভক্ত, যাহা আগামীর জন্য কোন ভাবেই সুখকর নয়। আরেকটা বিষয় চরম ভাবে লক্ষনীয়, সাংসদ ও জেলার সভাপতি-সাধারন সম্পাদকের মধ্যে গ্রুপিং। এ গ্রুপিংয়ের সুযোগ নিয়ে দলের ভিতর কিছু অসাধু দলছুট লোক ঢুকে যাচ্ছে দলেভারী করতে। যাহা আগামীর আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য বড় বিপদ বয়ে আনতে পারে। সুতরাং এখনোই সময় বিভেদ ভুলে তৃনমুল ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করে এশিয়ার বৃহৎ প্রাচীন বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার, নতুবা ঘরের ইঁদুর রশি কেটে দিলে আর করার কিছু থাকবে না।

জয় হোক মানবতার, জয় হোক শেখ হাসিনার। চিরজীবী হোক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ।

অরিন্দম হালদার

সদস্য, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category
Adsense