নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ২০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। গত দুইদিন পূর্ণিমা তিথির প্রভাবে এবং সাগরে লঘুচাপের স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চারফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবারও (৭ সেপ্টেম্বর) জোয়ারের পানিতে হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ, জাহাজমারা, বুড়ির চর, সোনাদিয়া, সুখচর, নলচিরা, চরঈশ্বর, চর কিং, হরনী, চানন্দী ও তমরদ্দি ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, জোয়ারের পানিতে হাতিয়ার বেড়িবাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আগামী দুইদিনও পানির বৃদ্ধি থাকতে পারে।
হাতিয়ার আফাজিয়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, আফাজিয়া বাজারের ঘাট এলাকা জোয়ারের পানিতে সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। হরনি ইউনিয়নের চতলা খাল পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, হরনি ইউনিয়নে চতলা খাল এলাকায় ঠিকাদার বেড়িবাঁধ না করায় জোয়ারের পানি ঢুকে ছয় কিলোমিটার ভেতরে পানি প্রবেশ করে ইসলামাবাদ, দক্ষিণ ইসলামপুর, মুফতি সমাজ, রহমতপুর, আহমদ পুর, আলামিন গ্রাম, ফরাজী গ্রাম, শরীয়তপুর সমাজ, গোবিন্দপুর, সেন্টার সমাজ, টাংকি সমাজ, জয়পুর, নয় দাগ সমাজসহ প্রায় ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়।
এতে পুকুরের মাছ, ক্ষেতের ফসল, কাঁচা ও পাকা রাস্তা পোল কালভার্ট ব্রিজ নষ্ট হয়ে গেছে। পূর্বেও লবণাক্ত পানি ঢুকে রবি মৌসুমে ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন বলেন, বেড়িবাঁধের বাইরের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে কিছু কিছু জায়গায় প্রতিনিয়ত পানি ঢুকে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। কোথাও বেশি সমস্যা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মো. ইমরান হোসেন আরও বলেন, পূর্ণিমা তিথির কারণে নদী উত্তাল থাকায় হাতিয়া থেকে নোয়াখালী স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। নদী স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : সবুজ বালা
স্বত্ব © আলোকিত জনপদ মিডিয়া ২০২৪