লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাদুর গ্রামে শনিবার বিয়ের দাবীতে স্কুল আফিয়া আক্তার (১৫) প্রেমিক জনির বসতঘরের সামনে অনশন কর্মসুচি পালন করে। রামগঞ্জ থানার পুলিশ খবর পেয়ে বেলা ৩টা ন্যায় বিচারের আশাস দিয়ে অনশন ভন্ডুল করে।
সুত্রে জানায়,উপজেলার মধ্য ভাদুর গ্রামের জাকির হোসেনের বখাটে পুত্র জনির সাথে পাশর্বর্তি দক্ষিন রাজারামপুর গ্রামের দিনমজুর দিল মোহাম্মদের ৯ম শ্রেনীতে পড়–য়া আফিয়া আক্তারের দীর্ঘ ৭ মাস যাবত মন-দেওয়া নেওয়া চলে আসছে।
এরি মাঝে জনি বিয়ের আশাস দিয়ে দৈনিক সর্ম্পক স্থাপন করে। একপর্যায়ে আফিয়া অর্ন্তস্বত্তা হয়ে পড়লে প্রেমিক জনি প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে গর্ভপাত ঘটনায়। এনিয়ে একাধিক বার গ্রাম্য শালিসে বৈঠক হলেও জনির পরিবার নানা তালবাহনা করে। প্রেমিকা আফিয়া আক্তার অনশনরত অবস্থা সাংবাদিকদের জানায়,বিয়ের প্রলোভনে জনি আমার সর্বনাশ করেছে।
এলাকা নয় উপজেলা ব্যাপী ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ছে। কোন পথ না পেয়ে অনশন শুরু করেছি। এতে কাজ না হলে আর্তহত্যা করতে বাধ্য হবো। আফিয়ার ভাই রবিউল বলেন,আমার বোন অনশন করার খবর পেয়ে মা মাফিয়া বেগম,বাবা দিল মোহাম্মদ এবং আমি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছলে প্রতারক জনির পালিত সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা চালায়।
এতে আমার মা গুরুতর আহত হলে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রেমিকার অনশনে প্রতারক জনি কৌশলে বসতঘর থেকে পালিয়ে যায়। এতে প্রেমিক জনিকে না পেয়ে তার মা বেবি বেগম বলেন,ছেলে অন্যায় করছে বলেই কী অনশন করায় ঠিক হচ্ছে ?
তাছাড়া মেয়ে দিন-রাত বসতঘরের সামনে উপস্থিত হয়ে ভাংচুর ঘটাচ্ছে। রামগঞ্জ থানার এস.আই অলি উল্যাহ বলেন,থানার ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অনশন ভেঙ্গে ন্যায় বিচারের আশাস দিয়ে মেয়েকে বাবার ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছি।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত