মাদারীপুরের কালকিনিতে একই সঙ্গে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতিষ্ঠিত দুটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মাদ্রাসা হলরুমে এক প্রতিবাদে সভা করেছেন ওই দুটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। এ নিয়ে ওই এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ ও সরেজমিন সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার ডাসার এলাকার কোমলাপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল ইসলাম নিজ অর্থায়নে এলাকার মানুষের স্বার্থে তার নিজ গ্রামে কোমলাপুর এতিমখানা এবং ইসলামী কমপ্লেক্স ও বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল ইসলাম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে একই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেন। কিন্তু পুর্ব শত্রুতার জেরে ডাসার ইউপি চেয়ারম্যান কাজী সবুজের নেতৃত্বে ওই এলাকার কাওসার কাজীসহ বেশ কয়েকজন মিলে বেশ কিছু দিন ধরে এ দুটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের জমি জোরপুর্বকভাবে দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। তাদের এ দখল চেষ্টার ঘটনার বাঁধা দিলে স্কুল ও এতিমখানা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচারনসহ হুমকি প্রদান করে আসছে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী সবুজ। কোমলাপুর এতিমখানা এবং ইসলামী কমপ্লেক্সের প্রধান শিক্ষক ছালাম মাতুব্বর ও বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল ইসলাম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাগর মাতুব্বর বলেন, বিনা কারনে চেয়ারম্যান কাজী সবুজ ও কাওসার কাজী মিলে আমাদের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি দখলের পায়তারা চালিয়ে আসছে। প্রতিবাদ করলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় প্রশাসনের কাছে উক্ত জমি রক্ষার জন্য আকুল আবেদন যানাচ্ছি। অভিযুক্ত কাওসার কাজীর চাচা মালেক কাজী বলেন, স্কুল ও ইতিমখানার জমির মধ্যে আমাদেরও জমি আছে। আমাদের কাগজপত্র আছে। এ বিষয় জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান কাজী সবুজ সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলার ডাসার থানার ওসি মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, আমরা জেনেছি ইউপি চেয়ারম্যান সবুজ কাজী নিজেই অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানের জমি দখলের চেষ্টা করতেছে। এবং কি এতিম ছাত্রদের হুমকি দিতেছে। ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply