কক্সবাজারের পেকুয়ায় মর্জিনা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের নতুনঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত গৃহবধূর স্বামী দিদারুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ এক সন্তানের জননী বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,যৌতুকের টাকার জন্য তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মর্জিনা আক্তারকে বেশ কিছু দিন ধরে চাপ প্রয়োগ করে আসছে স্বামী দিদারুল ইসলাম। বিভিন্ন সময় মারধর ও করা হতো তাঁকে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মর্জিনা আক্তারকে বেশ মারধর করে।
শারিরীক নির্যাতানের এক পযার্য়ে পাষান্ড স্বামী দিদারুল ইসলাম গলাটিপে হত্যা করে গৃহবধূ মর্জিনা আক্তারকে। এমনি অভিযোগ ভিক্টিম পরিবার ও স্থানীয়দের। এদিকে গৃহবধূ হত্যার খবর পাওয়ার পর পরই শুক্রবার ভোররাতে পেকুয়া থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গৃহবধূ মর্জিনা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে। সকালে অভিযুক্ত স্বামী দিদারুল ইসলামকে আটক করে থানা পুলিশ ।
দিদারুল ইসলাম নতুনঘোনা এলাকার মানুনুল হকের ছেলে বলে জানা যায় । নিহত মর্জিনা আক্তারের পিতা আশরাফ আলী বলেন, বৃহষ্পতিবার বিকেলে স্বামীকে নিয়ে শ্বাশুরবাড়িতে চলে যায় মর্জিনা। তিনদিন আগে মর্জিনা বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাত ১২টার দিকে মর্জিনার স্বামী দিদার আামকে ফোন করে বলেন মর্জিনা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ছে। উজানটিয়ায় গিয়ে দেখি আমার মেয়ের নিথর দেহ।
গলায় আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। নাক দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে। বিষয়টি আমরা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। যৌতুকের টাকার জন্য মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করেছে। নিহত মর্জিনার মা শফিকা বেগম জানায়, বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে যৌতুকের জন্য মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন চালাতো স্বামী ও তাঁর পারিবারের লোকজন ।
মেয়ের সুখের জন্য কয়েকদফা টাকাও দিয়েছি। কয়েক মাস আগে মেয়েকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় যৌতুকের টাকার জন্য । স্থানীয়ভাবে বৈঠকও হয়েছে অনেকবার। বৃহস্পতিবার বিকেলে আমার মেয়েকে তাঁর স্বামী দিদার এসে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাজামাল বলেন, মর্জিনা আক্তার অসুস্থ ছিলো।
হঠাৎ বুকের ব্যাথায় কাতর হয়ে মারা যায়। তাঁর পরিবারের দাবী করা অভিযোগ গুলো মিথ্যে। পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুর রহমান মজুমদার জানান, মর্জিনা আক্তার নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনো লিখিত এজাহার দেয়নি। তবে নিয়ে নিয়ে নিহত গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্বামী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
আলোকিত জনপদ ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
https://www.facebook.com/alokitojanapad
আলোকিত জনপদ টুইটার আইডিটি ফলো করুন
https://twitter.com/AlokitoJanapad
দেশ বিদেশের সব খবর সবার আগে জানতে আলোকিত জনপদ ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন।
ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই আলোকিত জনপদ এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন।
বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
আলোকিত জনপদ এর ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন
Leave a Reply