শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রাজৈরে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে সনাতনী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত। টেকেরহাট শহীদ সরদার সাজাহান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ” জুলাই গণ অভ্যুত্থান”দিবস উদযাপিত। ভোগ বিলাসে উপদেষ্টারা ব্যস্ত : রংপুরে সাদিক শার্শায় হতদরিদ্রের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক-২ কদমবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের শপথবাক্য পাঠ ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাদারীপুরে বাবুর্চি সহ ২টি মরদেহ উদ্ধার মুকসুদপুরের বাটিকামারী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন সেলিমুজ্জামান সেলিম গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিবার- পরিকল্পনা বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত “সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর আগে ভাবুন—এই ৫টি দিক”

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে ইসলামী ছাত্র মজলিস

 স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : বুধবার, ২৬ মে, ২০২১
  • ৩২৬ Time View

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ মনির হোসাইন ও সেক্রেটারি জেনারেল বিলাল আহমদ চৌধুরী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, গত বছরের মার্চে বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ প্রায় দেড় বছর হয়ে গেছে এখনো খোলার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে নাকি করোনা ছড়াবে। অথচ দেশের সকল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান,গার্মেন্টস, গণপরিবহন, নির্বাচনী প্রচারণা,অফিস-আদালত, সরকারি-বেসরকারি খেলাধুলা ইত্যাদি সব আগের মতোই চলছে, সেখানে করোনা ছড়াচ্ছে না। নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। ফলে তাদের মধ্যে নানা রকম দুশ্চিন্তা ও মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এমনিতেই প্রশ্নবিদ্ধ। আর এই পরিস্থিতির কারণে, শিক্ষার গুণগত মান ও শিক্ষার হার কমে যাচ্ছে। দেশের সমাজ ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা এমনিতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে চায় না। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে তো কথাই নেই। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারছে না। পক্ষান্তরে বয়স বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু চাকরির বয়স বাড়ছে না। ফলে দেশে বেকার সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশু-কিশোরদেরকে জোর করে যা শেখানো হয়েছে, তারা সব ভুলে যাচ্ছে এবং তারা নানা অপকর্মে (কিশোর গ্যাং) লিপ্ত হচ্ছে। শিশু শ্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ছাত্রদেরকে সোপর্দ করানো হচ্ছে। এই অবস্থায় তাদের পরিবার ও তাদের ভবিষ্যত হুমকির মুখে পড়ছে। অনেক পরিবার তাদের একমাত্র সন্তানের পাঠানো টিউশনের টাকায় চলত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে আজ ওই পরিবার ও সন্তানটি ধ্বংসের পথে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে জোর দাবী উঠেছে। তাদের দাবি যৌক্তিক এবং এ দাবী শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারের সাথে জড়িত। এ ব্যাপারে বিবেকবান সকলেই একমত। শিক্ষার্থীরা আগে থেকেই বার বার এ দাবী জানিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার কোনভাবেই তাদের দাবীর প্রতি কর্ণপাত করেনি। ফলে তারা রাস্তায়ও নেমে এসেছিলো। এ অবস্থায় আমরা সরকারের প্রতি জোর দাবী জানিয়ে বলতে চাই, সরকারকে অবিলম্বে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের প্রতি এমন দায়িত্বহীন আচরণ অব্যাহত রাখলে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের বিষ্ফোরণ ঘটবে। আর তখন কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category
Adsense